ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

যে ১০ কারণে বার্সা ছাড়তে চান মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
যে ১০ কারণে বার্সা ছাড়তে চান মেসি লিওনেল মেসি/ছবি: সংগৃহীত

২০১৯/২০ মৌসুম শেষ হওয়া মাত্রই ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। এই গ্রীষ্মেই তার কালাতান জায়ান্টদের ছেড়ে যাওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ আছে।

এর মধ্যে কিছু আছে আইনি এবং কিছু আছে খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

চলুন দেখে নেওয়া যাক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের বিদায় বলে দেওয়ার পেছনে কোন ১০টি কারণ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

আইনি
১. যেহেতু মৌসুম শেষ হতে দেরি হওয়ার কারণে ক্লাবকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত জানানোর সময়ও বেড়েছে। ফলে ১০ জুনের ডেডলাইন এখন প্রযোজ্য নয়।  

২. বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি অনুযায়ী, শেষ বছরে ৭০০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজের শর্ত নেই। যদিও বার্সা ও লা লিগা বলছে, ১০ জুনের আগে বললে রিলিজ ক্লজ না দিলেও চলতো। কিন্তু দেরিতে বলায় চুক্তি আবার চালু হয়ে গেছে। ফলে রিলিজ ক্লজ দিয়েই যেতে হবে।

৩. বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউ এর আগে অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, মেসি যখন ইচ্ছা যেতে পারে। এখন সেই কথা রাখছেন না তিনি।

খেলোয়াড়ি
১. বার্সার পরিকল্পনা মোটেই উচ্চাভিলাষী নয় এবং ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে মেসি আশাবাদী নন। গত কয়েক মৌসুমে সাফল্য পেতে মেসির ওপর নির্ভর করেছে কাতালান জায়ান্টরা, যা লিগে কাজে লাগলেও ইউরোপীয় পর্যায়ে কাজে লাগেনি।  

২. সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে মৌসুমের মাঝখানে সরিয়ে দেওয়া এবং এরপর তার বিদায়ের দায় দলের সিনিয়রদের ঘাড়ে চাপানোর বিষয়টা মানতে পারেননি মেসি।

৩. বোর্ডের সঙ্গে সমস্যা। গত মৌসুমে ক্লাবের বেশকিছু সিদ্ধান্তে অখুশি ছিলেন মেসি। বিশেষ করে বোর্ডের অর্থায়নে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মেসিসহ সিনিয়রদের নিয়ে দুর্নাম ছড়ানোর মতো ঘটনায় রীতিমত গৃহবিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছিল বার্সায়।

৪. বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি। বিশেষ করে সদ্য বিদায়ী ক্রীড়া পরিচালক এরিক আবিদালের সঙ্গে, যিনি ভালভার্দের বিদায়ের জন্য কয়েকজন খেলোয়াড়কে দায়ী করেছিলেন। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেসি।

৫. মেসির ধারণা, বার্সা তার চাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কারণ ক্লাবকে তিনি যেসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন (যেমন অ্যাকাডেমির ব্যবহার) তা শোনেনি বোর্ড।

৬. মেসিও মনে করেন, বার্সার একটা যুগ শেষ হয়ে গেছে। পিকের সঙ্গে তিনিও একমত যে, এখন সিরিয়রদের সরিয়ে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়ার সময়।

৭. বার্সার বোর্ড গোপনে মেসি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর ব্যবস্থা করেছে। সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বার্সায় মেসিই সর্বেসর্বা, যা সত্য নয়। বিষয়টা মেসিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।