এক বছর আগে ভগ্নহৃদয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে গিয়েছিলেন ফিলিপ্পে কৌতিনহো। ওই সময় লিভারপুলের কৌতিনহোর ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি।
এখন বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ট্রেবল জেতার স্বাদ পেয়ে ক্যাম্প ন্যুয়ে ফিরেছেন ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিমূলক দুই ম্যাচে একেবারেই নতুন রূপে দেখে গেছে তাকে।
কোম্যান দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পর বেশকিছু পরিবর্তন এনেছেন। এর মধ্যে কৌতিনহোকে নিয়ে নতুন করে শুরু করা একটি। ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে তার আত্মবিশ্বাস কাজেও দিচ্ছে। অনুশীলনে বেশ ঘাম ঝরিয়েছেন কৌতিনহো এবং দুই প্রীতি ম্যাচে তার ফলও পেয়েছেন।
প্রথম ম্যাচে জিমনাস্তিক দে তারাগোনার বিপক্ষে ফরোয়ার্ড লাইনের পেছনে থেকে খেলেছেন কৌতিনহো। কিন্তু জিরোনার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তাকে লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলান কোম্যান। এই পজিশনে খেলে সাবেক কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের অধীনে ব্যর্থ হয়েছিলেন কৌতিনহো।
দুই প্রীতি ম্যাচেই দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল কৌতিনহোর। আক্রমণ এবং রক্ষণ দুই জায়গাতেই তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজে এক গোল করার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছেন। এছাড়া দুটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন।
তবে সবচেয়ে বেশি চোখে লেগেছে তার মুখের হাসি। ওই হাসিই বলে দিচ্ছিল এবারের ফেরাটা রাঙিয়ে দিতে প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন। লিওনেল মেসির সঙ্গে তার জুটিটাও এবার জমবে বলেই মনে হচ্ছে। লুইস সুয়ারেস ক্লাব ছাড়লে আক্রমণভাগে পুরনো সঙ্গী বলতে এক কৌতিনহোই থাকবেন। দুজনের রসায়ন আগেরবার ব্যর্থ হলেও এবার তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশাই করবে সমর্থকরা।
জিরোনা ম্যাচের পর কৌতিনহোর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কোম্যান বলেন, ‘সে (কৌতিনহো) এখন উদ্দীপ্ত। সে ভালোভাবে অনুশীলন করছে এবং খেলছেও ভালো। তার কোয়ালিটি দারুণ এবং আমাদের মনে রাখা উচিত তার এখন কোচ ও সমর্থকদের সমর্থন প্রয়োজন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এমএইচএম