ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত রবিনহোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল সান্তোস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত রবিনহোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল সান্তোস রবিনহো/ছবি: সংগৃহীত

বেশ ঘটা করেই 'ঘরের ছেলে' রবিনহোকে ঘরে ফিরিয়েছিল সান্তোস। কিন্তু সাত দিন না যেতেই সেই সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেল।

কারণ, সাবেক এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড যে ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি!

একসময় রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান, ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা রবিনহোকে বলা হতো ব্রাজিলের 'নতুন পেলে'। সান্তোসের সিনিয়র দলে ডাক পাওয়ার পর এমনই চমক দেখান যে তাকে দলে ভেড়াতে এতটুকু দেরি করেনি রিয়াল। জিদান-বেকহাম-রাউলদের রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সিটা তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফুর্তিবাজ রবিনহো নিজের হাতেই ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন হলো অত্যন্ত বাজেভাবে।

রিয়ালের পর ম্যানচেস্টার সিটি এবং এসি মিলান ঘুরে তুরস্কের একাধিক ক্লাবে কোনোমতে ক্যারিয়ার টিকিয়ে রাখার পর কিছুদিন সান্তোসে ফিরে গিয়েছিলেন রবিনহো। একসময় মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো কামানো রবিনহো সান্তোসে ফিরেছিলেন মাসিক ২৭১ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ হাজার ৯৮০ টাকা) বেতনে। কিন্তু এত কম বেতনের চাকরি এক সপ্তাহও স্থায়ী হলো না।  

রবিনহোর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ইতালির এক নৈশক্লাবে সংঘবদ্ধভাবে এক আলবেনিয়ান তরুণীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৭ সালে সেই মামলার রায়ে তার ৯ বছর জেলের সাজা হয়। ইতালিতে গেলেই তাকে এই সাজা ভোগ করতে হবে। মূলত এই বিষয়টির কারণেই সান্তোসে ফেরার পর থেকেই ক্লাবের সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে স্পনসররাও সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিলে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সান্তোস।

শুক্রবার টুইটারে এক বিবৃতি প্রকাশ করে চুক্তি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সান্তোস। সেখানে লেখা হয়েছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সান্তোস ও রবিনহো অর্থাৎ উভয় পক্ষ ১০ অক্টোবর স্বাক্ষরিত চুক্তি বাতিল করেছে, যাতে রবিনহো মামলা সংক্রান্ত ঝামেলা মেটানোর জন্য সময় বের করতে পারেন।  

নিজের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন রবিনহো। তিনি এরইমধ্যে আপিলও করেছেন এবং কেস এখনও চলমান। কিন্তু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত একজন খেলোয়াড়কে দলে ফেরানোয় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল সান্তোস। করোনা মহামারির কারণে আর্থিকভাবে বেশ চাপে পড়ে যাওয়া সান্তোসের পক্ষে তাই রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

এদিকে চুক্তি বাতিলের পর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রবিনহো লিখেছেন, 'আমি যদি কারো ঝামেলার কারণ হয়ে থাকি, তাহলে আমার চলে যাওয়াই ভালো। এখন আমি ব্যক্তিগত ব্যাপারে মনোযোগ দেব। সান্তোসের সমর্থক এবং যারা আমাকে পছন্দ করেন, তাদের জানাতে চাই যে আমি যে নির্দোষ তা প্রমাণ করে ছাড়বো। '

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।