যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডের সঙ্গে আলোচনা করছেন মেসুত ওজিল।
বিশ্ব ফুটবলে এমন আলোচনায় চলছে এখন।
এমএলএসের ক্লাবটি জার্মানির সাবেক মিডফিল্ডারকে ‘আকর্ষণীয়’ অফার দিয়েছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। যার মধ্যে রয়েছে ওজিলের ব্র্যান্ড এম১০-কে যুক্তরাষ্ট্রে বিস্তৃতির সুযোগ করে দেওয়া।
বয়স সবে ৩২ বছর। চাইলে আরও কয়েক বছর ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলে যেতে পারতেন ওজিল। কিন্তু তার বেলায় ‘নক্ষত্র পতন’ নাকি ‘রাজনীতির শিকার’ কোন শব্দগুচ্ছ যায়, তাই নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে জার্মানির গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর থেকে যেন ওজিলের পায়ের তলা থেকে মাটি ধীরে ধীরে সরেতে থাকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বিশ্বকাপে জার্মানির ব্যর্থতার পর সমালোচনার কারণে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে নেন ওজিল।
অথচ এর আগে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন তিনি। ২১ বছর বয়সে ২০১০ সালে জার্মানিকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে রাতারাতি পেয়ে গিয়েছিলেন তারকা খ্যাতি। গুঞ্জন আছে, সে সময় স্যার আলেক্স ফার্গুসনকে ওয়েইন রুনি অনুরোধ করেছিলেন ওজিলকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আনার জন্য। অবশ্য সে অভিযানে জয়ী হয় রিয়াল মাদ্রিদ।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিন বছর ছিলেন ওজিল। প্রতিবারই লা লিগায় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টে সবার ওপরেই থাকে তার নাম। এরপর ২০১৩ সালে ৪২ মিলিয়ান পাউন্ডের বিনিময়ে আর্সেনালে যোগ দেন তিনি। এমিরেটসেও ফুল ফোটাতে থাকেন তিনি।
তবে গত কয়েক মৌসুম হুট করে প্রদীপের আলো থেকে সরে যান ওজিল। গত মৌসুমে গানারদের জার্সিতে তেমন সুযোগ হয়নি তার। এবার চলতি মৌসুমটাও কাটছে একটা ম্যাচও না খেলে। কারণ মাইকেল আর্তেতা আর্সেনালের কোচ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগের জন্য নিবন্ধিত ২৫ জনের স্কোয়াডেও রাখেনি ওজিলের নাম। এর আগে ইউরোপিয়ান লিগেও আর্তেতার স্কোয়াডে সুযোগ হয়নি ওজিলের।
অথচ গানারদের সবচেয়ে পারিশ্রামিক প্রাপ্ত খেলোয়াড় তিনি। প্রতি সপ্তাহে ওজিলকে ৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করতে হয় ইংলিশ ক্লাবটিকে। এদিকে আর্তেতার স্কোয়াডে সুযোগ না হলেও চুক্তি থাকায় এমিরেটস ছাড়েননি ওজিল। তবে কতদিন আর অপাঙক্তেয় হয়ে বসে থাকা যায়। যার কারণে নতুন ঠিকানা খুঁজছেন জার্মান মিডফিল্ডার। কিন্তু ওজিলের ব্যাপারে রাজি হয়নি কোনো ইউরাপিয়ান ক্লাব। সম্ভাব্য হিসেবে মেজর সকার লিগেই হতে পারে তার নতুন ঘর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
ইউবি/এমএমএ