ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

ফুটবল

আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২১
আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের জয়োল্লাস/ছবি: শোয়েব মিথুন

রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। ফাইনালে অস্কার ব্রুজোনের দল লড়বে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রেকর্ড ১১বারের চ্যাম্পিয়নদের ৩-১ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এই জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমজমাট লড়াই উপহার দেয় দুই দলই। তবে প্রথম গোলের দেখা পায় আবাহনী। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ফার্নান্দেসের গোলে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস।  

নির্ধারিত সময় শেষে সমতা থেকে যাওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ভাগে দুই দল জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। অবশেষে দ্বিতীয় অর্ধে শিরোপাধারীদের এগিয়ে নেন রাউল অস্কার বেসেরা। এরপর যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন জোনাথন দে সিলভেইরা ফার্নান্দেস।

শুরুতে রক্ষণে মনোযোগী হওয়া আবাহনী অবশ্য ২০তম মিনিটে ভালো আক্রমণ শানায়। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তো সান্তোস দা সিলভার ফ্রি কিক থেকে হেড নিয়েছিলেন কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্ট। কিন্তু হাইতিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড তালুবন্দী করে নেন বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। তিন মিনিট পর আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৩০তম মিনিটে একই ভাগ্য বরণ করেন বিশ্বনাথ ঘোষ।

খেলার ৩১তম মিনিটে ফ্রান্সিসকোর গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। ডান দিক দিয়ে বেলফোর্টের থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের শেষদিকে রাফায়েলের লব ধরে ফিলহোর শট ফিরিয়ে দেন জিকো।

বিরতির পর ৫১তম মিনিটে ফার্নান্দেসের গোলে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। রানার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোনাথন দি সিলভার ডান পায়ের শট ক্রসবারের ভেতরের কানায় লেগে গোললাইন পেরিয়ে ড্রপ খেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান বেসেরা। তবে আগেই গোললাইন পেরিয়ে যাওয়ায় গোলটি যায় জোনাথনের ঝুলিতে।

এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই দলই গোল মিসের মিছিল করার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এবার অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধে দুই দল একাধিক আক্রমণ শানালেও গোল পায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় অর্ধের খেলা শুরুর মিনিট পাঁচেক পরেই লক্ষ্যভেদ করেন বসুন্ধরা কিংসের বেসেরা। ১০৯তম মিনিটে জোনাথনের বাড়ানো বল ধরে মতিন মিয়া ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান ছোট ডি-বক্সে। প্রথম ছোঁয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন বেসেরা।

শেষ মুহূর্তে ফিলহো কাঁধ দিয়ে বল নামিয়ে দেওয়ার পর হাঁটুর টোকায় বল জালে পাঠিয়েছিলেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। কিন্তু অফসাইডের কারণ তা বাতিল করে দেন রেফারি। কিন্তু সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে শুরুতে বেশ হট্টগোল বাধিয়ে দেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা। এমনকি রেফারি ও লাইন্সম্যানদের দিকে মারমুখী হতেও দেখা যায় দলটির কয়েকজন খেলোয়াড়কে।  মিনিট দশেক বাকবিতণ্ডা শেষে ফের খেলা মাঠে গড়ায়। যোগ করা সময়ে রবিনহোর ছোট পাস ধরে জোনাথন জাল খুঁজে নিলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বসুন্ধরা কিংস।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।