করোনা হানায় লণ্ডভণ্ড অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে পা রেখেছে লিভারপুল। অথচ কিছুদিন আগে লিগে এই ভিলার কাছেই ৭-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ক্লপের দল।
ম্যাচটা মাঠে গড়ানো নিয়েই ছিল সংশয়। কারণ একদিন আগেই করোনা পরীক্ষায় ভিলার প্রধান কোচসহ মূল দলের প্রায় সবাই করোনা পজিটিভ হন। ফলে বাধ্য হয়ে বয়সভিত্তিক দল মাঠে নামাতে হয়। লিভারপুল ম্যাচে ভিলার মূল একাদশের ৭ খেলোয়াড়কে অনূর্ধ্ব-২৩ এবং বাকি ৪ জনকে নেওয়া হয় অনূর্ধ্ব-১৮ দল থেকে। এমনকি অধিকাংশ খেলোয়াড়দের তাদের অভিভাবকরা গাড়িতে করে মাঠে পৌঁছে দিয়ে গেছেন। কারণ ১৮ বছর বয়স পূর্ণ না হওয়ায় তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।
ভিলার হাতে অন্য কোনো উপায়ও ছিল না। কারণ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে খেলতে তো হবেই। করোনায় বিপর্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশন কিছুতেই ছাড় দিতে রাজি নয়। হয় খেলো, নয়তো ম্যাচ ছেড়ে দাও। এমন অদ্ভুত চাপে পড়েই অনভিজ্ঞ দল নিয়ে লিভারপুলের মতো শক্তিশালী দলের মোকাবিলা করতে নেমেছিল ভিলা। ম্যাচটা হেরে গেলেও তাদের সাহসিকতার কথা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না।
'বাচ্চা'দের নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র চতুর্থ মিনিটেই সাদিও মানের হেড থেকে গোল হজম করে ভিলা। কিন্তু তারপরও প্রথমার্ধের বাকি সময় নিজেদের রক্ষণ সামলে রাখে দলটি। উল্টো ৪১তম মিনিটে ১৭ বছরের লুই ব্যারি সফরকারীদের চমকে দিয়ে সমতা ফেরান। গত জানুয়ারিতেই ভিলা পার্কে পা রেখেছেন বার্সেলোনার অ্যাকাডেমিতে খেলা ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭ দলের এই স্ট্রাইকার। ব্যারি এখন এফএ কাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা।
ভিলার দুর্ভাগ্য যে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পর একাদশের তরুণদের খেলায় ক্লান্তির ছাপ দেখা যায়। আর এই সুযোগে তুলনামূলক অনেক বেশি অভিজ্ঞ অলরেডসরা তাদের চেপে ধরে এবং ৩ গোল তুলে নেয়। লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটি আসে জর্জিনিও উইনালদামের পা থেকে। ৬০তম মিনিটে সতীর্থের হেডে লুপ করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মানে। এর পাঁচ মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এমএইচএম