ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

সানজিদা-মান্ডাদের অর্জনে কলসিন্দুরে আনন্দের ঢেউ

ডিসট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
সানজিদা-মান্ডাদের অর্জনে কলসিন্দুরে আনন্দের ঢেউ

ময়মনসিংহ: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সাফল্যে পুরো দেশের মতো আনন্দের বন্যা বইছে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়ায়ও।

কারণ এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা আট ফুটবল-কন্যার বাড়ি যে এই উপজেলায়।  

তবে ফাইনাল খেলা ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মার্জিয়া, সানজিদা খাতুন, শিউলি আজিম, মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। চোখ ধাঁধানো পায়ের জাদুতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করায় তাদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত কলসিন্দুর গ্রামের নবীন-প্রবীণ ও তরুণ-যুবারাও।

স্থানীয়রা জানায়, লাল-সবুজের পতাকা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে কলসিন্দুর গ্রামকে দেশজুড়ে পরিচিতি দিয়েছে এই কন্যারা। আমরা তাদের জন্য গর্বিত।

মেয়েদের জয়ে উচ্ছ্বসিত ফুটবল তারকা সানজিদার বাবা লিয়াকত আলী বলেন, 'বাংলাদেশ জয়লাভ করায় সানজিদার বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। এটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। এই আনন্দের কোনো শেষ নেই। '

এই ফুটবল কন্যাদের স্থানীয় কোচ জুয়েল মিয়া বলেন, 'কলসিন্দুরের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে খুদে ফুটবলারদের নিয়মিত অনুশীলন চলছে। আমরা চাই এভাবেই এগিয়ে যাক আমাদের মেয়েরা। '
 
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের ম্যানেজার মালা রানী সরকারও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।  

তিনি বলেন, 'প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ মেয়েরা। এই মেয়েরাই একদিন ফুটবল বিশ্বকাপ জিতবে বলেও আশা করছি। '

ফুটবলার মার্জিয়ার বাবা আব্দুল মোতালেব বলেন, 'আমার মেয়ে শুরুতে এলাকায় যখন ফুটবল খেলত, তখন অনেকে বিষয়টিকে বাঁকা চোখে দেখত। তারা বলত- মেয়েদের ফুটবল খেলতে নেই। কিন্তু এখন মেয়ের সাফল্যে এলাকার ওই লোকজনই সম্মান দিয়ে কথা বলেছে। আমি মার্জিয়াসহ সব নারী ফুটবলারের জন্য দোয়া চাই। '

একই গ্রামের ফুটবল তারকা শামসুন্নাহার জুনিয়রের বাবা নেকবর আলী বলেন, 'খেলার দিন সকাল থেকেই আমরা পরিবারের সদস্যসহ কলসিন্দুরের ফুটবল ভক্তরা মেয়ের ভালো খেলার আশায় দোয়া করেছি। আল্লাহ দোয়া কবুল করেছেন। এখন তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরছে। এই জয়ে গ্রামের সবাই আনন্দিত। '

এগারো বছর আগে অপ্রতিরোধ্য এই ফুটবল কন্যাদের শুরুটা ২০১১ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। তখন জেলার সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে উঠে আসে একদল কিশোরী ফুটবলারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল একটি নারী ফুটবল টিম। আজ তাদের সাফল্যে আনন্দিত পুরো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।