ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

টাকা থাকলে ২ কোটি করে সবাইকে দিয়ে দিতাম: সালাউদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
টাকা থাকলে ২ কোটি করে সবাইকে দিয়ে দিতাম: সালাউদ্দিন

ইতিহাস গড়ে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তাদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বাসে ভাসছে পুরো দেশ।

তাদের বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় দেশের ফুটবল সমর্থকরা।  

তবে সানজিদা-সাবিনারা যে দেশকে গর্বের উপলক্ষ এনে দিলেন - এজন্য তাদের আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ফুটবল মহলে। যদিও বাফুফে প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন জানালেন, এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সামর্থ্য থাকলে প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে দিতেন বলেও জানালেন তিনি।

বাফুফে ভবনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে সাফজয়ী মেয়েদেরকে সভাপতির পক্ষ থেকে কোনও উপহার দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রসিকতার সুরে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘অনেক ভালবাসা আর অভিনন্দন। আমিতো পারলে প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতাম। তবে সেটা সম্ভব না। ’

মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আলোচনায় তাদের পারিশ্রমিক। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পারিশ্রমিক অনেক কম। সবাই কথা বলছেন মেয়েদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর বিষয়ে।  

মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন খোদ বাফুফে সভাপতিও। তবে ছেলে এবং মেয়ে ফুটবলারদের বেতনের তুলনায় নারাজ তিনি। পুরুষ এবং নারী ফুটবলে একই ধরনের বেতন কাঠামো সম্ভব না, এবং এটা উচিৎ না বলে মনে করেন সালাউদ্দিন।

সাফ জয়ী মেয়েদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে স্পন্সর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পন্সর থেকে এখন যে অর্থ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মেয়েদের ভালোভাবে দেখভাল করছি। সামনে যদি আমরা আরও ভালো স্পন্সরশিপ অ্যামাউন্ট পাই নিশ্চয়ই ওদের বেতন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। ’

মেয়েদের বেতনের বাইরে বাফুফে প্রতি মাসে খাওয়া, কোচিং স্টাফদের বেতন, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ বহন করে। সবই আসে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের থেকে; বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা।

ছেলে এবং মেয়ে ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের তুলনার প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন ছেলেদের ফুটবলে বেতন অনেক বেশি মেয়েদের কম কেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের সমান বেতন তো হতে পারে না পৃথিবীতে। এমবাপ্পে সাইনিং পায় ৩০ মিলিয়ন আর মেয়েদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলার পায় ৪ মিলিয়ন। এখানে পার্থক্য থাকবেই। ’

তবে ফুটবল খেলে মেয়েদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই মেয়েরা যখন প্রথম আসছে মেয়েদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিলো না। আজকে মেয়েদের কাছে বাসায় দুইটা তিনটা টিভি, চারটা মোবাইল, ব্যাংক-ব্যালেন্স, জমি আছে। এগুলা ফুটবল খেলে হয়েছে। এই ইমপ্যাক্টটা ওরা দেখছে। ওদের দেখাদেখি নতুন মেয়েরাও আসবে। ’

আগামীতে মেয়েদের খেলার উন্নতির জন্য আর বেশি ম্যাচ খেলা প্রয়োজন। এই প্রয়োজন অনুভব করেন সালাউদ্দিনও। সেই খেলাগুলো আয়োজন করতেও প্রয়োজন স্পন্সরের। বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘নিজেদের এগিয়ে নিতে হলে উন্নত দেশ গুলোর সঙ্গে আরও বেশি খেলা প্রয়োজন আমাদের। এক একটা খেলা আয়োজন করতে প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। স্পন্সর পেলে আমরা আয়োজন করবো। ’

‘স্পন্সর পেলে আমি নিজেই সকলকে জানিয়ে দেব। খেলা আয়োজনের পুরো বছরের ক্যালেন্ডার ঘোষণা করে দেব। স্পন্সর না পেলে আমি জানিয়ে দেব আমি পারছি না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।