আর কিছু দিন পরই শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এবার বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞ বসতে চলেছে কাতারে।
কাতারের শ্রম মন্ত্রী আলী বিন সামিক আল মারি বলেছেন কর্মীদের বকেয়া বেতন নিয়েই এখন তারা বেশি চিন্তিত। এছাড়াও বর্ণবৈষম্য তাদের চিন্তার আরেকটি অন্যতম বিষয়। এই মুহূর্তে কর্মীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে ভাবছেন না আল মারি।
আহত কিংবা নিহত কর্মীদের জন্য কাতারের একটি নিজস্ব ফান্ড রয়েছে। ফিফা আহত কর্মীদের জন্য যে ফান্ডের কথা বলে তা শুধুই প্রচারণার জন্যই বলেছে বলে মনে করেন কাতারের শ্রম মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফিফা যে ফান্ডের কথা বলছে তা কাতারের বর্তমানের ফান্ডেরই অনুকরণে। এটা ফিফার প্রচারণার পন্থা ছাড়া আর কিছুই না। ’
‘শ্রমিকদের কল্যাণে আমাদের দরজা সবসময়ই খোলা। আমরা আগেও এমন অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। ’
চলতি বছরের শুরুতেই কাতারে ‘নিপীড়িত’ কর্মীদের জন্য ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গঠনের জন্য ফিফার প্রতি দাবি জানিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ঠিকভাবে শ্রমিকদের মজুরি না দেওয়া এবং কাজ করার সময় হতাহত শ্রমিকের সংখ্যা কম দেখিয়েছে বলে আরব রাষ্ট্রটিকে অভিযোগের মুখোমুখিও করা হয়। অবশ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্টে প্রচারিত অভিবাসী শ্রমিকদের হতাহতের সংখ্যার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে কাতার।
কাতারের সঙ্গে ফান্ড গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন ফিফার এক মুখপাত্র। এরপর এই প্রথম কাতারের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দেয়া হলও। আল মারি সোজা ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে ফিফার ফান্ড গঠনের প্রস্তাবে তারা একমত নন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। বিশ্বকাপ শ্রমিকদের নিয়ে আলাদা ফান্ড গঠনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। আহত ব্যক্তিরা কোথায়? তাদের নাম কি কেউ বলতে পারবেন? আপনি তাদের কিভাবে খুঁজে বের করবেন?’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারাও আল মারির সঙ্গে একমত পোষণ করে জানিয়েছেন নতুন ফান্ড গঠন করলে বিষয়টি আরও জটিল হবে। ২০১৮ সালেই কাতার একটি কর্মী কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছে। যেখান থেকে শুধু এই বছরেই ৩২০ মিলিয়ন ডলার কর্মীদের কল্যাণে দেয়া হয়েছে।
‘যদি এখনো এমন কোনও কর্মী থাকেন যারা বেতন পাননি, কিংবা আহত হয়েছেন টাকা পাননি তারা আমাদের কাছে আসলে আমরা অবশ্যই তাদের সাহায্য করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২২
এআর