ঢাকা: জরায়ুর ক্যানসার প্রতিরোধে সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালায়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার বাড়ছে। আমাদের স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। সব উপজেলায় স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এই প্রোগ্রামকে আরও ব্যাপকভাবে শুরুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন রয়েছে, যার নাম এইচপিভি ভ্যাকসিন। আমরা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সংখ্যা অনেক কমবে। ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী একবার এই ভ্যাকসিন নিলে আজীবন জরায়ুর ক্যান্সার হবে না। এটা অত্যান্ত দামি ভ্যাকসিন, তবে আমরা এটা বিনামূল্যে দেব।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক নারী ব্রেস্ট ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্ত করতে যে মেমোগ্রাফি মেশিন লাগে সেটি আমাদের দেশে কম রয়েছে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে অন্তত আমরা যেন এই মেমোগ্রাফি মেশিন দিতে পারি সেই চেষ্টা চলমান রয়েছে, পর্যায়ক্রমে উপজেলাতেও আমরা এই মেশিন দেওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, রুটিন ভ্যাকসিন যেটা আমরা দিয়ে থাকি, সেটাতে গ্যাভির (Global Alliance for Vaccines and Immunization) সাপোর্ট ছিল ২০২৬-২৭ সাল পর্যন্ত। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এটার মেয়াদ ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের দেশের মেয়েরা রক্ত শূন্যতায় ভোগেন। ভিটামিন-এ স্বল্পতা এখনো প্রায় ৪৩ শতাংশ। খাদ্য নিরাপত্তার মাধ্যমে এটা কমে আসবে। প্রায় ৪০ শতাংশ কিশোরীর আয়রন স্বল্পতা এখনো আমাদের দেশে রয়েছে।
নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাস ইনশাআল্লাহ এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এখানে নতুন কোনো রোগী আমরা সেভাবে পাচ্ছি না। কোনো মৃত্যুও হয়নি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড