প্রতি ৩ সেকেন্ডে বিশ্বে এক জনের স্ট্রোক হয়। এই রোগ এখন হানা দিচ্ছে অল্পবয়সীদের মধ্যেও।
স্ট্রোকের লক্ষণ-
* হাঁটাচলায় সমস্যা
* ঢুলে পড়া
* মুখ ঝুঁকে পড়া
* কথায় জড়তা
* একদিকে অবশ
* ঝাপসা দৃষ্টি
কারণ-
নানা কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালির পথ সরু হয়ে যায়। ভেতরে চর্বির স্তর জমে এর পথ বন্ধ হয়। এতে মগজের কোষগুলো রক্ত কম পায়। ফলে পুষ্টি ও অক্সিজেন না পাওয়ায় মগজ নিস্তেজ হয়ে যাওয়ায় স্ট্রোকের মতো ভয়ংকর ঘটনা ঘটে।
স্ট্রোকের ধরন-
ইসকেমিক স্ট্রোক : রক্ত চলাচল থেমে যায় আর এতে রক্ত না পেয়ে মগজ নিস্তেজ হয়ে যায়।
হেমরেজিক স্ট্রোক : মগজের ভেতর দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে যায়।
মিনি স্ট্রোক : কিছুক্ষণের জন্য চর্বির ডেলা রক্তনালির পথ বন্ধ করে দেয়। এতে সাময়িকভাবে স্ট্রোক হয়। এ সময় চোখে অন্ধকার দেখে রোগী, একে বলে ব্ল্যাক আউট। মিনি স্ট্রোককে ঝড়ের সতর্কতা সংকেত হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
করণীয়-
* যাদের পরিবারে তরুণ বয়সে স্ট্রোক হয়েছে তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
* নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ সামলে রাখতে হবে।
* দিনভর বসে কাজ করা যাবে না। হাঁটাচলা করতে হবে। সপ্তাহে পাঁচদিন দ্রুত পায়ে দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
* রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে হবে।
* ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা ডিপ ফ্রাই খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
* অতিরিক্ত লবণ, চর্বি আর সুগার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
* তলপেটের মেদ কমিয়ে ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
* লাগাতার স্ট্রেস আর মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না।
* ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
* ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটতে হবে।
* সুষম খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে প্রচুর ফল, সবজি, ডাল, বাদাম, হোল গ্রেন, অলিভ তেল, মাছ ও কচি মাংস। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমায়।
* অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার যেমন- আচার, ফাস্ট ফুড, নোনা ইলিশ, নোনতা বিস্কুট বাদ দিতে হবে।
চিকিৎসা-
স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুল্যান্স ডাকুন। প্রথমে যেতে হবে ইমার্জেন্সিতে। নিউরোলজিস্টের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
জেডএ