গরমে আবহাওয়ার সঙ্গে আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এ সময় প্রচুর ঘাম হয়, ঘামের সঙ্গে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেড়িয়ে যায়।
এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তির জন্য
হিটস্ট্রোক
গরমে আমাদের শরীরের সৃষ্ট সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপদজনক হচ্ছে হিটস্ট্রোক। শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং এর বেশি হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বুঝে নিতে হয় হিটস্ট্রোক হয়েছে।
এমন অবস্থায় রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব শরীর ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে।
পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো জেনে নেই
যখন আমাদের প্রস্রাব অতিরিক্ত হলুদ হবে। তখন বুঝতে হবে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি পান করছি। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে, ত্বক, ঠোঁট, মুখ শুষ্ক লাগে, ঘন ঘন তেষ্টা পায় এবং প্রায়ই সংক্রমণ হলে বুঝতে হবে পানিশূন্যতায় ভুগছি।
পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পেতে
শরীরের তাপমাত্রার অত্যধিক বৃদ্ধি ও পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য, শরীরের অতিরিক্ত পানি থাকতে হবে। এজন্য প্রথমেই আমাদের সচেতন হতে হবে খাবারের বিষয়ে।
পানি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। গরমে সুস্থ সতেজ ও কর্মচঞ্চল প্রাণোচ্ছ্বল থাকতে পানি পানের কোনো বিকল্প নেই।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ বরফ চা একটি রিফ্রেশিং পানীয়। এটি আমাদের শরীর ঠাণ্ডা এবং আর্দ রাখে।
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ লেবু, তরমুজ, শসা, কাঁচা আমের পুষ্টিকর জুস নিয়মিত পান করতে হবে।
ঘামাচি
গরমে ঘাম থেকে অনেক সময় ঘামাচি হয়। এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে—
দুই চা চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচির ওপর লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডা ইনফেকশন দূর করে ও ত্বকে আরাম দেয়।
এক টুকরো সুতির পাতলা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে পুটুলি বানান। এবার আস্তে আস্তে ঘামাচির উপর বরফের পুটুলি বুলিয়ে নিন ও চেপে ধরুন। দিনে ছয়ঘণ্টা অন্তর এভাবে দু’তিনদিন করলেই ভালো ফল পাবেন।
গরমে বারবার পানি দিয়ে মুখ, হাত, পা ধুয়ে নিন, পুষ্টিকর টাটকা খাবার, শাকসবজি, ফল বেশি পরিমাণে খান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এসআইএস