ঢাকা: ২১ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী অসচ্ছল শিশু রোগীদের মধ্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো শারফুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহুরুল ইসলাম সাচ্চু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হলো জনকল্যাণমুখী সরকার। বিশ্ব মানবতার প্রতীক শেখ হাসিনার আমলে দেশের কোনো মানুষ অবহেলিত থাকবে না। কোনো মানুষ সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবে না। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসাসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে তা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা সম্পূর্ণ বধির শিশুদের জন্য যেভাবে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে তাও বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর এর পুরো কৃতিত্ব, অবদান হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কারণেই সুস্থ সুন্দর জীবন ফিরে পাচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুরা।
তিনি বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসের মূল্য একটি টয়োটা গাড়ির সমান। যা বর্তমান সরকারের আমলে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসকে সার্জারি মাধ্যমে কনে স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সু দক্ষ সার্জারি টিম। তারা সফলভাবে এ মহতী কাজটি সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, যেসব শিশুরা কানে শোনে না, তারা কথাও বলতে পারেন না। এখানে তাদের স্পিচ থেরাপিস্টদের মাধ্যমে কথা শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এসব শিশুরা কানে শুনতে পারছে, কথা শিখে কথা বলতে পারছে এবং লেখাপড়া পর্যন্ত শিখছে। ফলে তারা সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরতে পারছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭৪৫ জনের সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস