ফরিদপুর: জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ফরিদপুরের ২০ শয্যার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। দিনের বেলায় হাসপাতাল চত্বরে গরু-ছাগলের চারণভূমি আর রাতের বেলা মাদকসেবীদের দখলে চলে যায় হাসপাতালটি।
ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকায় ১৯৬১ সালে আট একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও ক্লিনিকটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাসপাতালের পুরোনো ভবন, নিরাপত্তার অভাব, জনবল-সংকট ও নষ্ট জেনারেটর নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২০ শয্যার এ হাসপাতালটি।
সেবা বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীরা।
হাসপাতালে বর্তমানে সাতজন রোগী চিকিৎসাধীন। নারী ওয়ার্ডে পাঁচজন ও পুরুষ ওয়ার্ডে দুইজন। এর মধ্যে চারজন রোগীর যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত, বাকি তিনজনের রয়েছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। সাতজন রোগীর বাড়ি হাসপাতালের আশপাশের এলাকায়। কোনও রোগীই রাতে হাসপাতালে অবস্থান করেন না। তারা সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে হাসপাতালে আসেন ও বেলা আড়াইটা-৩টার মধ্যে বাড়ি চলে যায়।
সন্ধ্যা হলে কেউ থাকে না। সন্ধ্যার পরই মাদকসেবীরা এখানে আড্ডা দেওয়া শুরু করে তাই ভয়ে চলে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে ভূতুড়ে পরিবেশ হয়ে যায় হাসপাতাল চত্বর। এছাড়া দূর থেকে আসা কোনো রোগী এখানে ভর্তি থাকে না।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৩
এসআরএস