ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

‘আগে যেসব রোগের জন্য বিদেশ যেতে হতো, এখন সেসবের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
‘আগে যেসব রোগের জন্য বিদেশ যেতে হতো, এখন সেসবের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে’

ঢাকা: অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় এবং অনেক স্বল্পমূল্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগে যেসব রোগের জন্য বিদেশ যেতে হতো, এখন সেসবের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।  

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেসব রোগের জন্য রোগীরা বিদেশ যেতেন, বর্তমানে সেসব রোগের চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে। ফলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর বিদেশ যেতে হয় না।  

স্পিকার বলেন, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে, চিকিৎসকদের দক্ষতাই এর বড় উদাহরণ। ব্যয়বহুল অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেশে স্বল্পমূল্যে করা হচ্ছে। বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসাসহ শত-শত জটিল অপারেশন দেশেই করা হচ্ছে। এমনকি কিডনি, লিভার, বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট, হৃদরোগের বাইপাস ও নিউরোসার্জারিসহ অনেক চিকিৎসা এখন দেশেই হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় এবং অনেক স্বল্প মূল্য পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। গত ১৪ বছরে সারাদেশে ৬ শতাধিক হাসপাতাল নির্মাণ, হৃদরোগ, ক্যানসার, নিউরো সায়েন্সসহ বিশেষায়িত অসংখ্য হাসপাতাল নির্মাণ হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।

স্পিকার বলেন, দেশে বর্তমানে ১১৫টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। অথচ, ২০০৯ সালেও মেডিকেল কলেজ ছিল মাত্র ৫০টি। শিক্ষার্থীদের জন্য এমবিবিএস আসন ছিল ২ হাজার ৫০টি। বর্তমানে ১০ হাজার ৭৮৯টিতে উন্নীত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ১৩টি থেকে ৩৭টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ২০ হাজার চিকিৎসক ও ৪০ হাজার নার্স-মিডওয়াইফ নিয়োগ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক  ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব এবং অ্যালানাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জাকিয়া সুলতানা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৩
আরকেআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।