ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

জীবনের পরোয়া না করে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
জীবনের পরোয়া না করে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

ঢাকা: জীবনের পরোয়া না করে দেশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেলাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে ' রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানো উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন,  ১০ বছর স্বাস্থ্য খাতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ৫ বছর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করলেন। আমি যখনই কাজ শুরু করলাম তখন দেশে ডেঙ্গু শুরু হয়ে গেল। এখন আবার শেষ হচ্ছেও ডেঙ্গু দিয়ে। মাঝখানের তিন বছর করোনা ছিল। এভাবেই আমাদের পাঁচ বছর কেটেছে। আমি মনে করি সময়টা খুব ভালো কেটেছে। এ বিষয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি মনে করি এ দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। এমনকি করোনার সময় আমি আমার জীবনের পরোয়া করিনি।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের সবাইকে নিয়ে করোনার সময় কাজ করার ফলে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারাবিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। বড় বড় রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে। যেসব দেশের সুযোগের কোনো শেষ নেই, টেকনোলজি টাকা পয়সা এবং রিসোর্সের শেষ নেই, তারাও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আমাদের ১৭ কোটি মানুষ, লিমিটেড রিসোর্স নিয়ে আমরা কাজ করেছি। অনেক সমালোচনা হয়েছে আপনারা সবাই জানেন, কিন্তু সমালোচনায় আমরা দমে যাইনি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও দমে যায়নি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের লোককে সেবা দিয়েছি, যার ফলে আমাদের দেশে করোনায় তুলনামূলক মৃত্যু অনেক কম ছিল। করোনায় আমেরিকায় ১২ লাখ মানুষ মারা গেছে, ব্রাজিলে ১০ লাখ ,মানুষ মারা গেছে, আমাদের দেশে মাত্র ২৯ হাজার লোক করোনায় মারা গেছে। করোনা ম্যানেজ না করতে পারায় ইউরোপের অনেক দেশের সরকার চেঞ্জ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫-৬ বছরে আমাদের দেশের অনেক অর্জনও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘ থেকে। কমিউনিটি ক্লিনিককে 'শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' বলা হলো। এটা বিশ্বে একটি অনুকরণীয় বিষয় হলো। প্রায় ৭৫টা দেশ, তাদের দেশে এটা চালু করতে চেয়েছে। আমাদের সময়েই প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। কালা জ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, পোলিও এবং টিটেনাস রোগ বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়েছে। এ চারটি রোগ বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করার সনদ আমি গ্রহণ করেছি।  

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব রঞ্জিত মল্লিক।

অনুষ্ঠানের শেষের দিকে রেসিডেন্ট এবং নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের ভাতার চেক প্রদান করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।