ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মাদারীপুরে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
মাদারীপুরে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

মাদারীপুর: দায়িত্বে অবহেলায় লাকী বেগম (৩২) নামে প্রসূতি এক মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ এনে মাদারীপুরে জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 নিহত লাকী মাদারীপুর শহরের শান্তিনগর এলাকার মন্টু বেপারীর স্ত্রী।

স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা সইতে না পারায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় লাকি বেগমকে। এর কিছু সময় পর প্রতিষ্ঠানের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তাছলিমা বেগম, লাকির নরমাল ডেলিভারি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মোবাইলফোনে কল করে জানানো হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার আমেনা খাতুনকে। এ সময় তিনি (আমেনা) না এসেই লাকীকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো নির্দেশ দেন। পরে তড়িঘড়ি করে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাকীকে পাঠানো পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় লাকীর।  

এ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা। এক পর্যায়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

নিহত লাকীর স্বামী মন্টু বেপারী বলেন, ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর অনেক রক্তক্ষরণ হয়, এ ঘটনার বিচার চাই। হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা উত্তেজিত জনতা ঘটিয়েছে।  

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. আমেনা খাতুন বলেন, ভুল কিংবা অবহেলা নয়, সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় লাকীর।  

এ সময় এমন মৃত্যু কেন, প্রশ্ন করলে এক পর্যায়ে তেড়ে এসে গণমাধ্যমকর্মীর ওপর। বলেন, নরমাল ডেলিভারি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম সরদার জানান, প্রসূতি মায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ব্যাপারে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।