ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে চলতি বছরে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
দেশে চলতি বছরে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যুর রেকর্ড

ঢাকা: চলতি বছরে এইচআইভি ভাইরাসে (এইডস) আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক হাজার ২৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬৬ জনের। গত বছর এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪৭ জন, আর মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক বছরে বাংলাদেশে নতুন করে এইডস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৭৬ জনের, এর আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৪৭ জন। আর চলতি বছর এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের বছর ২৩২ জন মারা যান।

১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক বছরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর এই সংখ্যাকে সর্বোচ্চ বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এইচআইভিতে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৫ শতাংশ, নারী ২৪ শতাংশ ও তৃতীয় লিঙ্গ এক শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৮৪ জনের শরীরের এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়েছে, আর এ ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ২ হাজার ৮৬ জন।

এক বছরে আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৪২ জন রোগী ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৪৬, রাজশাহীতে ১৭৫, খুলনায় ১৪১, বরিশালে ৭৯, সিলেটে ৬১, ময়মনসিংহে ৪০ এবং রংপুর জেলায় ৩৪ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ৮৫০ জন পুরুষ এবং ২৭৮ জন নারী। আর ৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে চলতি বছরের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর এবং আবদুন নূর তুষার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, সরকার এইডসের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধসহ সব ধরনের সেবা দিচ্ছে। আমাদের এখানে অস্ত্রোপচারসহ চিকিৎসায় রি-ইউজেবল অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। ওই জিনিসগুলো জীবাণুমুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নইলে দেখা যাবে একজন নির্দোষ ব্যক্তি যিনি একটি কোলনস্কপি, এন্ডোস্কপি বা যে কোনো একটা পরীক্ষা করাতে এসে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, মানুষ সারা বিশ্বে এখন অবাধ যাতায়াত করছে। ফলে সংক্রামক রোগও দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।