ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঘুষ চাওয়ার তথ্য পেতে নিজের ফোন নম্বর দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
ঘুষ চাওয়ার তথ্য পেতে নিজের ফোন নম্বর দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক 

নাটোর: সিংড়ায় কেউ ঘুষ চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলককে ফোন করে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এজন্য তিনি নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছেন সিংড়াবাসীকে।

  

রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার সময় নাটোরের সিংড়ায় ডায়াবেটিক সমিতির চক্ষু ইউনিট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দেন।

এ চক্ষু ইউনিটে সপ্তাহে ছয়দিন (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক একজন চক্ষু চিকিৎসক সেবা দেবেন।

প্রতিমন্ত্রীর বলেন, সরকারি বা যে কোনো সেবা পাওয়া হচ্ছে মানুষের অধিকার। আর এজন্য যদি কেউ আপনাদের কাছে ঘুষ বা টাকা দাবি করে, এক টাকাও দেবেন না। কেউ ঘুষ চাইলে প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমাকে ০৯৬১০০০০২২২ নম্বরে ফোন করে জানাবেন; তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫২ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা চিহ্নিত করে গেছেন। যা সারা বিশ্বের নেতারা মেনে নিচ্ছেন এবং স্বীকৃতি দিয়েছেন যে জাতির পিতার এ ধারণা সঠিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাই মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

রাস্তাঘাট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের এ এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ডাক্তার ছিল না। জটিল কোনো রোগের চিকিৎসক ছিল না, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল না। কোনো সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। একটা মাত্র অ্যাম্বুলেন্স ছিল। ডায়াবেটিকসহ যে কোনো জটিল রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আমাদের সিংড়াবাসীকে নাটোর সদর ও রাজশাহীতে যেতে হতো। আমি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর সিংড়ায় একটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিই। আজ সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতি সিংড়াবাসী আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ডায়াবেটিকদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে। চোখের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। আমাদের দেশে অনেক শিশু জন্মগতভাবেই চোখের সমস্যায় ভোগে। কিন্তু সামান্য পরীক্ষার অভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। আমরা চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে সেই রোগীদের সমস্যা শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের আনন্দ উপলব্ধি করেছি। তাই আমরা সিংড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে চক্ষু ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিই। আগামীতে চক্ষু-দন্ত ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে একসঙ্গে কাজ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সিংড়ার পাঁচ লাখ মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা দুটি লক্ষ্য স্থির করেছি- সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং একটি মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা। এগুলো বাস্তবায়নে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও জেলা প্রশাসনে কথা বলেছি।  

অনুষ্ঠানে সিংড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিংড়ায় ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।