ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেয়র আতিকুলের সমালোচনা করলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
মেয়র আতিকুলের সমালোচনা করলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গোলটেবিল বৈঠক | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের ভুল ধরে সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি মেয়রের সমালোচনা করেন।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরজুড়ে কাজ করছেন বা করার উদ্যোগ দিয়েছেন, এটাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আপনার সমালোচনা করছি, কিছু মনে করবেন না। আপনি বারবার বলছেন, সমন্বয় করার কথা। কিন্তু আপনাদেরই সমন্বয়ের অভাব থেকে গেছে। মশা বা ডেঙ্গু সমস্যা শুধু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নয়। আপনারা নিজেরাই সমন্বয় করতে পারেননি, এখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউকে আনা উচিত ছিল। কারণ, আপনারা সব মশা মেরে শেষ করবেন অথবা তাড়িয়ে দেবেন, সেই মশাগুলো তো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলে যাবে। মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হলে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকেও সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে একসাথে কাজ করা উচিত ছিল।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আপনারা যদি নিজেরাই সমন্বয় করতে না পারেন, তাহলে এর কোনো ভালো ফলাফল হবে না। আপনাদের নিজেদের একসঙ্গে সমন্বয় করে মশা নিধনে কাজ করে যেতে হবে। আজকের এই এত বড় বৈঠকের আয়োজন করেছেন, অথচ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোনো প্রতিনিধি এখানে নেই। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, রাজউক, গণপূর্ত সবার আলাদা আলাদা ক্ষেত্র রয়েছে। তাই সবাইকে নিয়েই সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও বলেন, মেয়র আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, আপনি অবশ্যই কাজ করে যাচ্ছেন, চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু সমন্বয় না হলে মানুষ ভুল বুঝবে, মনে করবে আপনারা কোনো কাজ করছেন না। কিন্তু আপনারা তো কাজ করছেন, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডেঙ্গু এখন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে, সমন্বয় করে কাজ করা ছাড়া, আপনি তো একা পারবেন না।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, গত বছর ডেঙ্গু হয়ে মারা গেছে ১৭০০-এর মতো মানুষ। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়তো মারা গেছে ৮-৯ হাজার মানুষ। সেটা নিয়ে কিন্তু অত বেশি আলোচনা নেই, ডেঙ্গু নিয়ে এত বেশি আলোচনার কারণ হলো মানুষ ভাবছে একটা ছোট্ট মশার কাছে আমরা হার মানব? এটা মানুষ মানতে চায় না।  

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, নিপসম কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, পিপিডব্লিউ উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার দত্ত, মেট্রোরেল প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, ডিএনসিসি ওয়াড কাউন্সিলর ডা. আব্দুল মতিন, ওয়াড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, রিহাব সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম আলামিন, আইসিডিডিআরবি বিজ্ঞানী রাশেদুল হক ও ডিওএইচএস প্রতিনিধি মেজর শামস আহমেদ জিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
আরকেআর/এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।