ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেছেন, অপুষ্টিরোধে শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ পান অত্যন্ত জরুরি। দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া এবং বাংলাদেশের জন্য শিশুমৃত্যু রোধে মাতৃদুগ্ধ পানের বিকল্প নেই।
রোববার রাজধানীর আইসিডিডিআরবির সাসাকাওয়া মিলনায়তনে সাউথ এশিয়ান ইনফ্যান্ট ফিডিং রিসার্চ নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘রিসার্চ টু ইমপ্রুভ নিউট্রিশনাল স্টাটাস অ্যান্ড চাইল্ড সারভাইভাল থ্রো এপ্রোপ্রিয়েট ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং প্র্যাকটিসেস ইন সাউথ ইস্ট এশিয়া’ শীর্ষক আঞ্চলিক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, “শিশুর এ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অফিস, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল কলেজসহ সকল পাবলিক প্লেসে ব্রেস্টফিডিং কর্নার স্থাপনের জন্য সরকারিভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে। ”
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ২০০৯ সালের মিলিনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (এমডিজি) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশুমৃত্যু হয় পুষ্টিহীনতার কারণে। দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় অপুষ্টির কারণে শিশুমৃত্যুর এই হার ৭৫ শতাংশ। গবেষণা প্রতিবেদন মতে, নবজাতকদের নিয়মিত ৬ মাস মাতৃদুগ্ধ পান এবং এরপর পরিপূরক খাবারের পাশাপাশি দুই বছর পর্যন্ত মাতৃদুদ্ধ পান করালে শিশুমৃত্যুর এই হার লক্ষণীয় মাত্রায় কমে আসবে।
সভায় বাংলাদেশ, ভারত , নেপাল , পাকিস্তান, শ্রীলংঙ্কা, ও অস্ট্রেলিয়ার ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অপুষ্টির কারণে প্রায় ৪১ শতাংশ শিশু খর্বাকায়, ১৬ শতাংশ দুর্বল এবং ৩৩ শতাংশ স্বল্প ওজনের হয়।
ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. এস কে রায়ের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব:) মুজিবর রহমান ফকির, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনির্ভাসিটির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাইকেল ডিবলি, বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার মি. গ্রেগ উইলরক, ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ডা. ইকবাল কবির এবং আইসিডিডিআরবির সহকারী গবেষক ডা. সাবরিনা রশিদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর