বার্ধক্যজনিত কারণে বা স্মৃতিভ্রংশের কারণে মানুষ প্রায়ই ছোট ছোট জিনিস মনে রাখতে পারে না। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এমন চলতে থাকলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার:
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। যেমন, বেরি, আখরোট, বাদাম, ফল এবং শাক-সবজি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলো আমাদের শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন বাড়াতে সহায়ক। ফলে এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর চর্বি
মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে ডায়েটে স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন। এটা মূলত, মাংসের চর্বি ছাড়াও ঘি, দুগ্ধজাতীয় দ্রব্য, দানাশস্য এবং ড্রাই ফ্রুটসে পাবেন। এগুলো মস্তিষ্কের গঠন ও কার্যকারিতা ভালোভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। রান্নার জন্য ভালো সর্ষের তেল ব্যবহার করুন। বিভিন্ন ধরনের চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, সার্ডিন ও ট্রাউট ওমেগা-৩ এর প্রধান উৎস। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি লোপের শঙ্কা কমায়।
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে মস্তিষ্ককে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার, ওটস, ব্রাউন চাল, দানাশস্য, বিনস, ডাল ডায়েটে রাখুন
ব্রোকলি
ব্রোকলিতে থাকা পুষ্টিগুণ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ কার্যকারী। এতে বিদ্যমান ভিটামিন কে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোকোয়া ফ্ল্যাভনয়েড নামে পরিচিত। ৭০শতাংশ কোকোয়াবিশিষ্ট ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগ দূর করতে সহায়ক। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঁচা হলুদ রাখুন।
মানসিক চাপ নেবেন না
যতটা সম্ভব কম মানসিক চাপ নিন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কেবল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না বা স্মৃতিভ্রংশ ঘটায় না, অনেক রোগের কারণও হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৪
এএটি