ঢাকা, শনিবার, ১৯ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ শতাধিক মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় চিকিৎসা পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ শতাধিক মানুষ নিখরচায় চোখের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ছবি: মেহেদী নুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বসুন্ধরা আই হসপিটালের সহায়তায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার খাকচাইল ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ছয় শতাধিক মানুষকে নিখরচায় চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামে ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুলে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিয়ে ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির এ সেবা কার্যক্রমের আয়োজন করেন।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, কনসালট্যান্ট ডা. কাজী আদনান ও ক্যাম্প অর্গানাইজার আবু তৈয়বের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন। এসময় ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সুশীল কুমার সরকার, ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুন নূরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসা নিতে আসা খাকচাইল গ্রামের আয়েশা বেগম বলেন, এক বছর ধরে দূরের বস্তু কম দেখি। দেখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে ব্যথাও হয়। অনেকবার ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু সমস্যা দূর হয় নাই। টাকাও অনেক খরচ হইছে। আজ আমাদের গ্রামের স্কুলে ঢাকা থেকে ডাক্তার এসে আমাকে ফ্রি চিকিৎসা দিয়েছে। চোখে সমস্যা দেখে আমাকে চমশা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।

শামীমা আক্তার বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। ভালো ডাক্তার দেখাতে টাকারও প্রয়োজন হয়। চোখে সমস্যার কারণে অনেকবার ডাক্তার দেখালেও সমস্যা দূর হয় নাই। লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ বসুন্ধরা আই ক্যাম্পে এসে চোখের ডাক্তার দেখাইছি। কোনো টাকা নেয় নাই, ফ্রি ওষুধও দিছে।

ফ্রি চিকিৎসা পাওয়া স্কুল শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে, সবাই ফ্রি চিকিৎসা পেয়েছে। এছাড়া আমাদের অভিভাবকরাও চিকিৎসা পেয়েছেন।

ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চার শতাধিক রোগীর নাম আগে থেকেই লিপিবদ্ধ করা ছিল। বিকেল নাগাদ ৪০ জন রোগীকে ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেককে ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা রোগীদের বিনামূল্যে অপারেশন করবে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।  

ফকির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির জানান, গ্রামের সাধারণ মানুষকে আই-সাইট সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে আমাদের এ উদ্যোগ। গত কয়েক বছর ধরে চলা এ কার্যক্রম আগামীতেও চলবে।  

প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।