ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ শাবান ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিউরোসায়েন্সে আজও বন্ধ অস্ত্রোপচার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিউরোসায়েন্সে আজও বন্ধ অস্ত্রোপচার

ঢাকা: চিকিৎসকদের ওপর আউটসোর্সিং কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এন্ড হাসপাতালে দ্বিতীয় দিনের মতো অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে।

এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলের যোগদান ঘিরে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে অন্য চিকিৎসকদের বাগবিতণ্ডা এবং হট্টগোল হয়।

এরপর পরিচালকের পক্ষ হয়ে আউটসোর্সিং কর্মীরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেন। এতে দুজন চিকিৎসক আহত হন। প্রতিবাদে চিকিৎসকরা জরুরি ও বহির্বিভাগের সেবা চালু রেখে হাসপাতালের নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধ ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসকদের নিয়মিত অস্ত্রোপচার বন্ধের কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বড় হাসপাতাল অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী থাকে। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. জালাল উদ্দিন রুমি বাংলানিউজকে বলেন, ডা. গুরুদাস মন্ডল স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) করেন। তিনি জুলাই বিপ্লবের সময় শান্তি মিছিলেও অংশ নিয়েছেন। চার মাস আগে তাকে পাবনা বদলি করা হয়েছিল। পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ সাহেব উনাকে আবার নিয়ে এসেছেন। পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ নিজেও তো শান্তি সমাবেশে গেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বাসায় গেছেন, তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এই বিষয়ে খুবই ক্ষুদ্ধ হয়েছি, আমরা ৪০-৫০ জন ডাক্তার গিয়ে দ্বীন মোহাম্মদ সাহেবকে জিজ্ঞেস করেছি। কেন আপনি এ কাজটা করলেন? আপনার কোনো পরিবর্তন হয় নাই। আপনার চিন্তা চেতনা ফ্যাসিস্টের মতোই আছে। আমরা আপনাকে আর চাই না আপনি পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ না করলে আমরা হার্ড লাইনে যাবো। এটা বলে আমরা চলে আসছি। এই পরিচালক গত ১০ বছরের অনেক চতুর্থ শ্রেণির কর্মাচারী নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা চলে আসার পর উনি তাদেরকে পাঠিয়েছেন আমাদের মারার জন্য। তারা হাসপাতালের কিছু রুম ভাঙচুর করছে। ডাক্তারদের মারধরও করে। এতে আমাদের কয়েকজন ডাক্তার আহত হয়েছি। সব ডাক্তার মিলে প্রতিরোধ করলে তারা পিছু হটে। এটা ছিল গতকালের পরিস্থিতি।

ডা. জালাল উদ্দিন রুমি বলেন, আমরা আউটডোর ও জরুরি সকল সেবা চালু রেখেছি। ইনডোরের নিয়মিত রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত বন্ধ রেখেছি। আমরা বড় কর্মসূচিতে যেতে চাই না। আমরা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি, মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে অপসারণ করবে। পরিচালকেও সেটা জানিয়েছে। সে অনুযায়ী সে পদতাগপত্র জমা দিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সব কিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। আজকে থেকেই এটা কার্যকর না হলে আমরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
আরকেআর/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।