ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেঘনা উপকূলীয় চরাঞ্চলবাসীদের জন্য ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৫
মেঘনা উপকূলীয় চরাঞ্চলবাসীদের জন্য ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন

চাঁদপুর: চাঁদপুরে মূল জনপদ থেকে বিচ্ছিন্ন মেঘনা নদীবেষ্টিত বেশ কয়েকটি দুর্গম চর। চরবাসীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা ছিল সোনার হরিণ।

অনেকটা স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ছিলেন তারা। তাদের জন্য নতুন করে আশার আলো ছড়িয়েছে বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের নামে ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতাল। এটি পরিচালনা করছে ফ্রেন্ডশিপ নামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। যেখানে মিলছে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড়ে চরে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রকল্পে ভাসমান হাসপাতাল উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা সচিব মো. সাইদুর রহমান।

বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের নামে ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতালের উদ্দেশ্য একটাই চরের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। প্রাথমিক চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার। সবকিছুই মিলছে একেবারে বিনামূল্যে। এতে হাতের নাগালে এমন স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে দারুণ খুশি চরবাসী।

বিলকিস বেগম নামে এক রোগী বলেন, এর আগে  ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে জেলা শহর কিংবা রোগের ধরণ দেখে ছুটতে হতো রাজধানী পর্যন্ত। তাও যাদের আর্থিক সামর্থ্য ছিল শুধুই তারা চিকিৎসা নিতে পারত। আমাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব না। এখানে ভাসমান হাসপাতাল হওয়ায় খুব উপকার পেয়েছি। বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন করেছি। এক টাকাও লাগেনি।

ফ্রেন্ডশিপ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান জানান, প্রতিদিন ১৫০-২০০ রোগী এই ভাসমান হাসপাতালে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন। সাতজন চিকিৎসকসহ ৩২ সদস্যের ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতালটিতে কার্যক্রম চলছে। হাইমচর উপজেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩২ লাখ মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এই কাজ করবে প্রকল্পটি।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, নদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায় না। এ স্বাস্থ্যসেবা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের নামে ভ্রাম্যমাণ ভাসমান হাসপাতাল কার্যক্রম শুরু হয়। সব মানুষ যাতে চিকিৎসাসেবা পায় পরিকল্পিতভাবে আমাদের কার্যক্রম সেভাবেই চলছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, কিং আব্দুল্লাহ হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোলায়মান আব্দুল আজিজ, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবসহ সৌদি সরকারের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৫

আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।