কক্সবাজারের চকরিয়ায় একেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একেএস ফার্মেসি উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একেএস খান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ. কে. শামসুদ্দিন খান।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একেএস খান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল এমরান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চকরিয়া ও তার আশপাশের অঞ্চলের
দ্রুত উন্নয়নশীল অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চকরিয়া একটি উদীয়মান এলাকায় রূপান্তরিত হচ্ছে, যেখানে আধুনিক নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এখানকার জনসংখ্যা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে, যার ফলে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হচ্ছে। তাই এ এলাকায় আধুনিক, সাশ্রয়ী এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। একেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একেএস ফার্মেসি চকরিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ি, বদরখালী ও আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, একেএস খান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার সংস্থা হচ্ছে আইএফইউ, যারা বাংলাদেশ জুড়ে ১০০টিরও বেশি নতুন ফার্মেসি এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করছে। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের পথ উন্মোচন করবে।
আইএফইউ-এর ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর মি. ক্লাউস প্রেবেনসেন বলেন, একেএস খান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্বের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাশ্রয়ী ও মানসম্মত ওষুধ এবং ডায়াগনস্টিক সেবা পৌঁছে দেওয়া। আজ চকরিয়ায় উদ্বোধন হওয়া এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার আমাদের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে একটি বড় পদক্ষেপ। এ যৌথ উদ্যোগের ফলে মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা এদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।
বক্তারা আরও বলেন, একেএস খান ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের এ উদ্যোগ চকরিয়ার মহেশখালী, মাতারবাড়ি, বদরখালী ও আশেপাশের অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের জন্য উন্নত ডায়াগনস্টিক সেবা, মানসম্মত ওষুধ এবং নির্ভরযোগ্য পরামর্শ সরবরাহ করবে, যা স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে।
তারা আশা প্রকাশ করেন যে উদ্যোগটি এসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা খাতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা একেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ফার্মেসির বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এসআই