ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রত্যাঞ্চলে চিকিৎসকদের আলাদা ক্যাডার গঠনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
প্রত্যাঞ্চলে চিকিৎসকদের আলাদা ক্যাডার গঠনের দাবি

ঢাকা: হাওড়-বাওর ও প্রত্যাঞ্চলে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা ক্যাডার সার্ভিস গঠনের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে উপবৃত্তির পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
 
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।


 
‘চর ও উপকূলীয় অঞ্চলের মাতৃ স্বাস্থ্য অবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবায় কিশোরী ও নারীদের অভিগম্যতা বৃদ্ধি এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ মত দেন।
 
দি এশিয়া ফাউন্ডেশন, ইউএসএআইডি, ইউকেএইড’র সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সহযোগিতায় পাবলিক পলিসি ফোরাম এ আয়োজন করে।
 
আলোচনায় তানভির শাকিল জয় এমপি বলেন, শহর ও গ্রামের চিকিৎসকদের মধ্যে বেতন-ভাতা, নিরাপত্তা বৈষম্য রয়ে গেছে। ফলে চিকিৎসকদের বদলি করা হলেও তারা গ্রামে যেতে চান না। একটি নীতিমালা করে চিকিৎসকদের সেইভাবে গড়ে তোলা দরকার। এক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বদলিকৃত চিকিৎসকদের আলাদা ক্যাডার সার্ভিস ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া উচিত।
 
তিনি বলেন, শুধু উপবৃত্তি দিয়ে ঝরে পড়া রোধ করা যাবে না। এক্ষেত্রে শিশুদের বাবা-মায়ের মন মানসিকতা পরিবর্তনে এনজিওরা ভূমিকা রাখতে পারে।
 
রেবেকা মোমিন এমপি বলেন, হাওড়, ভাওর ও প্রত্যাঞ্চলে ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না। আনন্দ স্কুলসহ বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হলেও এগুলো কাজে আসছে না। লোক দেখানো প্রকল্প দিয়ে ঝরে পড়া রোধ সম্ভব হবে না। প্রত্যাঞ্চলে চিকিৎসক ব্যবস্থা নাজুক হওয়ার একমাত্র কারণ চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা ও বেতন বৈষম্য। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে।
 
চিকিৎসক ও বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের এখন সেবার মনোভাব নেই।

বিগত সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর তার এলাকার হলেও শিক্ষা, চিকিৎসা কোনো উন্নয়ন করেননি বলে সমালোচনা করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, বাংলাদেশের মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমলেও চর এবং প্রত্যাঞ্চলের উন্নতি হয়নি। চিকিৎসক অনুপস্থিতি, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ও সরাঞ্জামির অভাবে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে।

তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসকদের গ্রামমুখী করার পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধে সরকারকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার আহবান জানান।
 
গোলটেবিল বৈঠকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, সংসদ সদস্য ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৩
আরইউ/এএইচএস/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।