ঢাকা: একেবারে ষোলআনা মানবসেবায় নিবেদিত একজন কর্মী ডাঃ কল্পনা গুপ্ত (চট্টোপাধ্যায়)। লন্ডন ও সিংগাপুর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কল্পনা গুপ্ত চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন কিভাবে আরও বেশি বেশি করে রোগীদের সেবা দেওয়া যায়।
আর এ লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ মেডিকা‘তে নিজের চেম্বারে বসে রোগী দেখেন। এছাড়া রোগী দেখেন কলকাতা বাইপাস সংলগ্ন মুকুন্দপুরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিসার্চ হাসপাতালেও। নিজে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি খুলেছেন বৃহৎ পরিসরে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল’। যেখানে যে রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন তারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে তিনি জানান, তাঁর পরামর্শ- রোগীর চিকিৎসাই শুধু নয় তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল- রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেওয়া। যাতে রোগ এসে বাসা বাঁধতে না পারে। এটা হচ্ছে উত্তম ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, রোগ না হলে তো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে বিছানাশায়ী হল। রোগ যন্ত্রণায় কাতর হল। এরপর অনেক অর্থ ব্যয় করে রোগ নিরাময় করল।
কিন্তু সব সময় রোগ যে সারবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারেন না। যে কারণে আমাদের ব্রত হওয়া উচিৎ চিকিৎসার আগে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আমরা এই স্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি- বললেন ‘মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হসপিটাল’র কর্ণধার ডাঃ কল্পনা গুপ্ত (চট্টোপাধ্যায়)।
যে কারণে তিনি জোর দিয়েছেন বিয়ের আগে বর-কণে উভয়কে রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া। এই রক্ত পরীক্ষার উদ্দেশ্য হল- ওই দম্পত্তির সন্তান হলে বড় ধরণের কোন রোগের আশঙ্কা থাকবে কিনা? অর্থাৎ রোগের আগেই প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা।
দেখা গিয়েছে- দম্পত্তির রক্তের কারণে অনেক ক্ষেত্রে থ্যালাসেমিয়া থেকে শুরু করে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নিচ্ছে। শিশুটি সারা জীবন বয়ে বেড়াবে তার অভিশপ্ত জীবন। আর বাবা-মাকেও টেনে বেড়াতে হবে দু:সহ জীবন যন্ত্রণা। অথচ সামান্য সচেতন হলেই এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো যেতে পারে।
আর সেই বার্তাই সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে উদোগী হয়েছেন ডাঃ কল্পনা গুপ্ত। শুধু চিকিৎসাই নয় পাশাপাশি গণসচেতন করতে সভা-সেমিনার করে বেড়াচ্ছেন শুধুমাত্র ভারতেই নয় বাংলাদেশেও।
ডাঃ কল্পনা গুপ্তের মেডিকা ক্লিনিকে কিডনি, ডায়াবেটিস, এন্ডোক্রিনোলজি, কার্ডিয়াক, অর্থোপেডিক, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি অ্যান্ড জিআই সার্জারি, পেড্রিয়াটিক কার্ডিওলজি অ্যান্ড কার্ডিয়াক সার্জারি, চোখ, কান, গলাসহ (ইএনটি) বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য পৃথক পৃথকভাবে ৩ ডজনেরও বেশি চিকিৎসক রয়েছেন।
তার দপ্তরে কোন রোগী গেলে তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে যত্ন সহকারে রোগী দেখে থাকেন। তিনি যদি মনে করেন কোন রোগীর আরো ভাল চিকিৎসা দরকার অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট রোগ বিশেষঞ্জের কাছে পাঠানো দরকার তাহলে তিনি তারও ব্যবস্থা করে দেন।
ডাঃ কল্পনা গুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের রোগীদের ব্যাপারে তিনি বেশি দেখভাল করে থাকেন। যাতে রোগী একেবারে একটি নতুনস্থানে গিয়েও অসহায় বোধ না করেন। তাঁর পরামর্শ কেন্দ্র থেকে রোগী বা তার আত্মীয়স্বজনদের কলকাতায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
রোগীর যদি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তবে তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর স্থানে থাকাসহ যাওয়া-আসার ব্যবস্থাও করে থাকেন।
এই মহিয়সী নারী জানান, মানুষের সেবা করে যেতে পেরে তিনি খুবই পরিতৃপ্ত। বাকি জীবনটাও মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান।
(যারা কলকাতায় তার চেম্বারে যেতে চান যোগাযোগের জন্য ঢাকা- মি: সরকার ০১৭২০০৩২২০২ এবং কলকাতা মিসেস গুপ্ত ০০৯১৯৮৩০০৫৩৯৮০)
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৩