ঢাকা: গর্ভাবস্থায় মায়েদের আচরণের প্রভাব সন্তানদের ওপর পড়ে। চিরন্তন সত্য না হলেও অনেকে এটা বিশ্বাস করেন।
সাধারণ কোনো মানুষের কথা নয় এটি। এই ভব্যিদ্বাণী করেছেন এক নিউরো-বায়োলোজিস্ট। অধ্যাপক ডিক সওয়াব তার সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থে দাবি করেছেন, অনাগত সন্তানের সেক্সুয়ালিটি (যৌন বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ) হয় তার মায়ের জীবনাচরণপ্রভাবিত।
যুক্তরাজ্যের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী বলেছেন, বিপরীত লিঙ্গ বা একই লিঙ্গের প্রতি শিশুর দুর্বলতা নির্ধারিত হয় গর্ভে থাকার সময়েই।
দশকের পর দশক ধরে লিঙ্গের পরিচিতির উৎপত্তি নিয়ে বিতর্কে চলে আসছে। অনেকে যুক্তি দেখান, এটি ব্যক্তির জীবনাচরণের পছন্দ বা বেড়ে ওঠার পরিবেশের মাধ্যমে প্রভাবিত।
কিন্তু ‘উই আর আওয়ার্স ব্রেইনস’ গ্রন্থে অধ্যাপক সওয়াব দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, এর কোনো প্রমাণ নেই।
তথাকথিত এসব ধারণাকে নাকচ করে দিয়ে মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ধূমপান বা সিনথেটিক হরমোন মেয়েদের লেসবিয়ান (সমকামী) বাই-সেক্সুয়াল (উভকামী) হওয়ার মানসিকতা গড়ে তোলে।
জন্মের আগেই নিকোটিন বা অ্যাম্ফিটামিনের সঙ্গে যোগসূত্র হওয়ার বিষয়টি কন্যা সন্তানের সমকামী হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ডিক সওয়াব।
এমন কী গর্ভাবস্থায় ধূমপান বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনো কিছু পান করলে তা সন্তানের বুদ্ধিমত্তাকে কমিয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৪