সিরাজগঞ্জ: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, চিকিৎসকদের অবহেলায় চিকিৎসাবঞ্চিত হয়ে রোগীরা হাসপাতাল থেকে ফেরত যাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসকদেরকে গ্রামে থেকে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দায়িত্ব পালনে ফাঁকি দিয়ে সরকারি পদে থাকার কোন অধিকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কোন মানুষ হাসপাতালে এসে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করে তবে তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। জনগণকে সেবা দিতে না পারলে সরকারের সকল লক্ষ্য ও কার্যক্রম পণ্ড হবে। মানুষের সেবা পাওয়ার অধিকারের সাথে কোন দলবাজি নেই, রাজনীতি নেই।
চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে সরকারের স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। কোন অন্যায় তদবির চলবে না। তদবির করলে ধরে নিতে হবে তারা বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জনগণ সহজে স্বাস্থ্যসেবা পেতে শুরু করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছে অপশক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়ে পারেনি, এখন বলছে সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করতে দেবে না, কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মেয়াদ পূরণ করবে। কারণ তার সঙ্গে রয়েছে জনগণের ভালোবাসা।
জেলার সিভিল সার্জন ডা: মো: মাঈনউদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: হাবিবে মিল্লাত মুন্না, স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: খন্দকার সিফায়েত উল্লাহ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদুল কবির, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মাদ গোলাম কিবরিয়া এবং স্থানীয় বিএমএ সভাপতি ডা: জহুরুল হক রাজা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যা উন্নীতকরণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ প্রকল্পের অধীনে অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা সম্পন্ন ৮ তলা ভবনের প্রথম পর্যায়ে ৬ তলা ভবন নির্মাণ কাজ ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪/আপডেটেড- ১৮৪২ ঘণ্টা।
স্বাস্থ্য
ডাক্তারদের ফাঁকি দেওয়া চলবে না
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।