ক্যান্সার একটি জটিল, ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদী রোগ হিসেবে পরিগণিত। পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যান্সার।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অ্যান্ড ক্যান্সারের (আইএআরসি) সর্বশেষ ২০১২ সালের তথ্যে বলা হয়, ওই বছর পৃথিবীতে মোট ১ কোটি ৪১ লাখ মানুষের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং ৮২ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
উল্লেখ করা দরকার, একই সংস্থার ২০০৮ সালের প্রতিবেদনেও ক্যান্সারজনিত বাৎসরিক মৃত্যুর সংখ্যা ৭৬ লাখ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরও দেখা যাচ্ছে, ৪ বছরের ব্যবধানে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ৬ লক্ষাধিক বেড়েছে।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, মূলত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেই ক্যান্সারের মৃত্যুহার বাড়ছে।
‘গ্লোবোক্যান ২০১২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী নারীদের ক্যান্সার রোগের বৃদ্ধির প্রকোপ ও প্রতিরোধকে গুরুত্ব দিয়ে ব্রেস্ট ও সারভিক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
২০১২ সালে সামগ্রিকভাবে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ছিল সর্বাধিক, যা মোট ক্যান্সারের ১৩ ভাগ এবং সংখ্যায় ১৮ লাখ।
অন্যদিকে, নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রকোপ ছিল বেশি, যার হার প্রায় ১২ ভাগ এবং সংখ্যায় ১৭ লাখ।
ক্যান্সারজনিত মোট মৃত্যুর মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হার ছিল ১৯.৪ ভাগ। অর্থাৎ শুধু ২০১২ সালেই ফুসফুসের ক্যান্সারে ১৬ লাখ মানুষ মারা গেছে।
ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানকে চিহ্নিত করা হয়। লিভার ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লক্ষাধিক ও পাকস্থলি ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ৭ লক্ষাধিক। ক্যান্সারজনিত মোট মৃত্যুর দিক থেকে যথাক্রমে লিভার ক্যান্সার ও পাকস্থলির ক্যান্সার দ্বিতীয় (৯ ভাগের বেশি) ও তৃতীয় (প্রায় ৯ ভাগ) স্থানে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশে ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষ করে, পুরুষদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার ও নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক বলে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ১৮ জানুয়ারি এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ও বিশেষায়িত এ হাসপাতালে ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত রোগীদের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়কালে আগত নারী রোগীদের ২৬ ভাগ স্তন ও ২৩ ভাগ জরায়ু ক্যান্সারের রোগী। অন্যদিকে, পুরুষদের ২৮ ভাগ ফুসফুস ও ৬ ভাগ মুখমণ্ডলের বিভিন্ন ক্যান্সারের রোগী।
ক্যান্সার নিয়ে অনেকগুলো ভুল ধারণা লক্ষ্যণীয়। এ ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে গত বছরের মতো এ বছরও বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: “Debunk the myths!” এবং ক্যান্সারসহ অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কর্মরত স্বেচ্ছাসংস্থা ‘এনসিডি ফোরাম-বাংলাদেশ’ বাংলায় এর ভাবার্থ করেছে: ‘ক্যান্সার: রুখে দিন কুসংস্কার’।
মূলত ক্যান্সার প্রতিরোধকল্পে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর ক্যান্সার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সম্মিলিত সংগঠন) প্রণীত বিশ্বব্যাপী ঘোষণার ৫নং ধারার (ক্যান্সার সম্পর্কে ক্ষতিকর ও কাল্পনিক ধারণা দূর করতে) অধীনে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়।
এ বছরের ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্যগুলো এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
ভুল ধারণা ১: কেউ কেউ মনে করেন, ক্যান্সার নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই।
সঠিক তথ্য: কেউ কেউ ক্যান্সারকে কপালের দোষ হিসেবে দেখেন এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তির পরিবার অসহায় বোধ করে। কোনো কোনো পরিবারে ক্যান্সার রোগ হলেও এ সব নিয়ে তারা কথা বলেন না। এতে ওই পরিবার বা ক্যান্সার রোগীর পক্ষে অন্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ থাকে না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে আমরা যেটা জেনেছি, ক্যান্সার মোটেই কপালের দোষ নয় বরং এটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের খাদ্যাভ্যাস, আচার-আচরণ, পরিবেশনির্ভর রোগ। তাই, ক্যান্সার যেহেতু একটি জটিল ও ভয়াবহ রোগ, তাই এ রোগ সম্পর্কে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার।
তাছাড়া কোনো কোনো সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থায় ক্যান্সারের মতো রোগ আলোচনার বাইরে থেকে যায়। সুতরাং, ক্যান্সার রোগ ও এ রোগের কারণ সম্পর্কে যত বেশি আলোচনা হবে, ততই মানুষের মধ্যে ক্যান্সার ও এর প্রভাব ও প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার হবে।
ভুল ধারণা ২: কেউ কেউ মনে করেন, ক্যান্সার রোগের কোনো পূর্বলক্ষণ নেই।
সঠিক তথ্য: অধিকাংশ ক্যান্সারের ক্ষেত্রেই পূর্বলক্ষণ দেখা দেয়। শুরুর দিকে ক্যান্সার ধরা পড়লে প্রতিকারও করা সম্ভব। অর্থাৎ শুরুর দিকে ক্যান্সার ধরা পড়লে এ রোগ ভালো করা যায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সব হাসপাতালে ক্যান্সার রোগের লক্ষণ পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। মানুষকে বিভিন্ন ক্যান্সারের পূর্বলক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকে ক্যান্সার রোগের কারণ, প্রতিকার ও লক্ষণের বিষয়গুলো পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত, গণমাধ্যমে আলোচনা ও স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগের পূর্বলক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সহজ ও সম্ভব।
ভুল ধারণা ৩: ক্যান্সার সম্পর্কে করণীয় কিছুই নেই।
সঠিক তথ্য: ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে ব্যক্তি, সমাজ ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অনেক কিছুই করার আছে। কারণ, এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষ করে, তামাক ও ধূমপান এবং মাদক সেবন কিংবা কোমল পানীয়-ফাস্টফুড-জাঙ্কফুড এর মতো ক্ষতিকর খাদ্যদ্রব্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজটি যে কেউ করতে পারেন। পাশাপাশি তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া ও পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের জন্য শিশুসহ সব বয়েসী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
ক্যান্সার রোগের ঝুঁকি রয়েছে এমন খাদ্য দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধও যে কেউ করতে পারেন। যখন অনেক মানুষ একসঙ্গে একই বিষয়ে কথা বলবে, তখন সরকার তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলে আশা করা যায়।
ভুল ধারণা ৪: ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় কোনো অধিকার নেই।
সঠিক তথ্য: ক্যান্সার রোগীদের দুর্ভোগ দূর করতে প্রত্যেকেই ভূমিকা রাখতে পারেন। ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়াটা সামাজিক ন্যায়বিচারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাছাড়া ক্যান্সারকে শুধু স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। বরং, ক্যান্সার রোগের সঙ্গে সামাজিক-পারিপার্শ্বিক-অর্থনেতিক ও মানবাধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
তাছাড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রেও ক্যান্সার রোগ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচিত। ক্যান্সার প্রতিরোধে সব মানুষেরই কিছু না কিছু করার সুযোগ ও অধিকার রয়েছে। পাশাপাশি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকারও সবার রয়েছে।
সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সর্বোচ্চ অধিকার। জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানেও স্বাস্থ্যকে অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য তামাক সেবন বর্জন করা খুবই জরুরি। কারণ, ৩০ ভাগ ক্যান্সারের জন্যই দায়ী ধূমপানসহ তামাক সেবন। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে বিড়ি, সিগারেট, সাদাপাতা, হুক্কার তামাক, জর্দা, গুল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, টার বা আলকাত্রা, আর্সেনিক, মিথানল, ন্যাপথালিন, বেনজোপাইরিন, সায়ানাইড, অ্যামোনিয়া, অক্সিডেন্টসহ চার হাজারেরও বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে; যার মধ্যে ৪৩টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত।
অন্যদিকে, তামাক নিয়ন্ত্রণের পূর্বশর্ত শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। গতবছর, অর্থাৎ ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হয়েছিল, যার শিরোনাম “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) ২০১৩”।
আগের আইনের তুলনায় এর কয়েকটি ধারায় মৌলিক ও ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে ২৯ এপ্রিল ২০১৩ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন হলেও এখন পর্যন্ত এ আইনের অধীন বিধিমালা তৈরি হয়নি। সে কারণে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রচলনসহ কয়েকটি ধারার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
অন্যদিকে, তামাক কোম্পানিগুলো দেদারছে আইন লঙ্ঘন করে চললেও শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না। তাই, যত দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা তৈরি করা সম্ভব হবে, ততই মঙ্গল। পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে। মাদকের প্রবেশপথগুলো শক্তভাবে বন্ধ করতে হবে। মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষতিকর কোমল পানীয়-ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড সামগ্রীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে। এ জন্য সরকারকে কঠোর হতে হবে। এছাড়া এসব ক্ষতিকর সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে কর বাড়াতে হবে।
অন্যদিকে, বাইসাইকেলের ওপর কর প্রত্যাহার ও বাইসাইকেল চলাচল উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
সব বয়েসী মানুষের খেলাধুলার সুযোগও বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক। এক্ষেত্রে শহরের সবখানে হাঁটার উপযোগী পরিবেশ (চওড়া ও সমান্তরাল ফুটপাত, পথচারী পারাপার জেব্রা ক্রসিং ও সিগন্যাল লাইট) গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষকে হাঁটতে উৎসাহী করা যেতে পারে। ফুটপাতে পর্যাপ্ত আলো ও ফুটপাতসংলগ্ন স্থানে পাবলিক টয়লেট তৈরি করতে হবে।
এছাড়া শহরের মাঠ ও পার্কগুলো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ও ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। মাঠ ও পার্কের সব রকম বাণিজ্যিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খেতে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে হবে। সব পর্যায়ে ফরমালিনমুক্ত তাজা শাকসবজি ও ফলমূল প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মোদ্দাকথা, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করার চাইতে রোগ প্রতিরোধকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য ক্যান্সার রোগ ও রোগের কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। পাশাপাশি ক্যান্সার রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা কুসংস্কারগুলো দূর করতে হবে।
লেখক পরিচিতি: আমিনুল ইসলাম সুজন ছিলেন ২০১১ সালের ‘গ্লোবাল ক্যান্সার অ্যাম্বাসেডর ফর বাংলাদেশ’। এছাড়া তিনি সমস্বরের (বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ত্রৈমাসিক প্রকাশনা) নির্বাহী সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪