ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ডিমেনশিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪
ডিমেনশিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান

ঢাকা: বাংলাদেশে আলঝাইমারস ডিজিজ বা অন্যান্য ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে সব শ্রেণির মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ‘ডিমেনশিয়ার এবং বাংলাদেশ-উন্নয়নশীল দেশের বয়স্ক মানুষদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারের আলোচকবৃন্দ।

এ ক্ষেত্রে সরকার ও সমাজের সুশীল সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।



বুধবার রাতে রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এ আহ্বান জানানো হয়।
 
‘ডিমেনশিয়ার এবং বাংলাদেশ-উন্নয়নশীল দেশের বয়স্ক মানুষদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ কনফারেন্সের আয়োজন করে স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশন।
 
কনফারেন্সের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিমা বেগম, জ্যাকব রায় কোরায়েশী, ফ্যাঙ্ক জে শেপার, রহমান জিলানী ও মেজর জেনারেল (অব.) জীবন কানাই দাস এবং স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাইকেল ওকেফি।
 
কনফারেন্সে বক্তারা বলেন, ঢাকা ও সিলেটসহ এ দেশে বহু মানুষ আলঝাইমারস ডিজিজ বা অন্যান্য ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। অনেক পরিবার এ বিষয়টিকে উদ্বেগহীনভাবে অবহেলা করে থাকেন।

ডিমেনশিয়ার কারণে অনেক বয়স্ক ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসতে পারেন না। বাংলাদেশে এ রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু একমাত্র হোম কেয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ওইসব বয়স্ক ব্যক্তিদের  স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান বজায় রাখা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি।
 
বক্তারা আরও বলেন, রোগ হিসেবে ডিমেনশিয়ার এখনও কোনো উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা বের হয়নি। এটি সাধারণত ষাট বছরের বেশি বয়সের মানুষের হয়ে থাকে। কিন্তু সব বয়স্ক মানুষের হয় না। এমনকি এ রোগ চল্লিশ বছরের কম বয়স্ক মানুষেরও হতে পারে।
 
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশে তিন লাখের বেশি মানুষ এই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের গড় আয়ু বাড়ায় ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ১৪ লাখে পৌঁছাবে। এছাড়া সারাবিশ্বে সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত।
 
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) ২০১২ সালের এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, ডব্লিউটিও ডিমেনশিয়াকে গ্লোবাল হেলথ চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং প্রত্যেক দেশের পাবলিক হেলথ প্ল্যানিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
 
স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘ডিমেনশিয়া অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন ইন বাংলাদেশ’ নামের একটি অভিযান শুরু করেছে। যার মূল লক্ষ্য হলো- হেলথ প্রফেশনাল, ক্লিনিশিয়ানস, কমিউনিটি ওয়ার্কার, সাধারণ জনগণকে ডিমনেশিয়া এবং ব্যক্তি ও সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
 
এ সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ রোগের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।