ঢাকা: ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অবৈধ বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের মাত্র ৩ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার দুটি জাতীয় সংবাদপত্রে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আশিয়ান মেডিকেল কলেজ।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো. শেফায়েতউল্লা।
এই অপরাধে মেডিকেল কলেজটির নিবন্ধনও বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন অবৈধ বলে গণ্য হবে।
এতে আরও বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে সরকার ঘোষিত ছাত্রছাত্রী ভর্তির সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কয়েকটি কলেজ বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছে।
মন্দ্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ তারিখের পর ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন অবৈধ বলে গণ্য হবে।
এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির যেন উদ্ভব না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শেফায়েত উল্লাহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও যারা এভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারে তাদের আর্স্পধায় অবাক হয়েছি। আশিয়ান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থতার সুযোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভর্তির কথা বলছে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির পরও তাদের সাহস হয় কিভাবে, এ নিয়ে কথা বলার! এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আশিয়ান মেডিকেল সর্ম্পকে তিনি বলেন, তারা অবৈধভাবে জমি দখল করে মেডিকেল করেছে। আবার পুরো শহরে যেভাবে বিলবোর্ড দিয়েছে সেটিও দৃষ্টিকটু।
তিনি বলেন, যেখানে উন্নত বিশ্বে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ভার বহন করতে না পেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের এখানে বেসরকারি মেডিকেলের বহর বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (শিক্ষা ও জনশক্তি) ডা. এবিএম আবদুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি মন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি খুবই মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তি নিজেদের খুব বেশি ক্ষমতাধর ভাবেন। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য না করায় এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা; ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪