ঢাকা: আগামী একমাসে নতুন করে কোনো পোলিও রোগী শনাক্ত না হলে দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার সঙ্গে পোলিওমুক্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ।
বুধবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইমিউনাইজেশন অ্যান্ড ভ্যাক্সিনেশন ডিভিশনের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্থা লিয়াঙ্গেজ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী মার্চের ২৬ ও ২৭ তারিখে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ডাব্লিউএইচও’র রিজিওনাল সার্টিফিকেশন কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অপ্রত্যাশিত কোনো কিছু না ঘটলে ২৭ মার্চ এ স্বীকৃতি দেওয়া হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানসহ ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ২০০৬ সালের নভেম্বরের পর থেকে আর কোনো পোলিও আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
২৫ বছর ধরে পোলিওমুক্ত ভুটান
গত ২৫ বছর ধরে ভুটানে নতুন করে কোনো পোলিও রোগী পাওয়া যায়নি। তবে ভারতে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারিতে শেষ পোলিও রোগী চিহ্নিত হয়।
জয়ন্থা জানান, স্বীকৃতির শর্ত হিসেবে পোলিও মুক্ত হিসেবে অন্তত তিন বছর পার করতে হবে। সেই বিবেচনায় ভারত তিন বছর অতিক্রম করেছে। আর তাই এবার দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়াকে পোলিওমুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এবার স্বীকৃতি পেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া হবে চতুর্থতম অঞ্চল।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া রিজিয়নের মধ্যে রয়েছে- কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও তিমুর।
জয়ন্থা জানান, সবগুলো দেশই এখন পোলিওমুক্ত হিসেবে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই বিভাগের ডা. তাজুল ইসলাম বারী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার সকালের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। তবে এ দুটি দেশ রাজনৈতিক সীমারেখায় এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হলেও তারা সিয়ারোর অন্তর্ভুক্ত নয়।
তিনি বলেন, ২০০০ সালে মিরপুরে ডলি নামে এক শিশু পোলিওতে আক্রান্ত হওয়ার পর ছয় বছর পোলিও মুক্ত ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০০৬ সালে আবার দেশের ছয়টি বিভাগের ১২টি জেলায় ১৮ জন পোলিও আক্রান্ত হয়।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে এ সময় রোগের বাহক প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৪