ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অত্যাধুনিক বেড দান করলো রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় এর পর্দা উন্মোচন করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এর আগে তিনি দুপুর সোয়া ১২টা ঢামেক হাসপাতালে এসে পৌঁছান। এ সময় তিনি কিছুক্ষণের জন্য বার্ন ইউনিটের ২য় তলায় সাবেক ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর সামন্ত লাল সেনের কক্ষে অবস্থান করেন।
এরপর সাড়ে ১২টায় হাই ডিফেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) ফিমেল ওয়ার্ডের পাশে নতুন বেডের পর্দা উন্মোচন করেন। এ সময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান।
এ ছাড়াও রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উন্মোচনের পর তিনি আইসিইউ পরিদর্শন করেন ও বেডে থাকা রোগীদের খোঁজখবর নেন।
এদিকে, পর্দা উন্মোচন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, রিহ্যাব থেকে ১০টি অত্যাধুনিক বেড দেওয়া হয়েছে। পরে মেল ওয়ার্ডের জন্য আরো ১০টি বেডে দেবে তারা।
তিনি বলেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ১০টি বেড দিয়েছে রিহ্যাব। আমিও রিহ্যাবের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। রিহ্যাব বিভিন্ন দুর্যোগে সহায়তা দিয়ে থাকে।
অপরদিকে, সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, লোডশেডিং বলতে এখন কিছু নেই। লোডশেডিং কথাটি ভুলে যান।
তিনি আরো বলেন, আশা করি, গরমে সেচের সময়ও লোডশেডিং হবে না। চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আমাদের আছে। গ্যাসের কিছুটা সমস্যা থাকলেও বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই।
বার্ন ইউনিটের প্রফেসর ডা. সাজ্জাদ খোন্দকার জানান, এইচডিইউ হচ্ছে, হাই ডিফেন্সি ইউনিট। অত্যাধুনিক বেডের সুবিধা হচ্ছে- স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিছানা উপরে ওঠে। পেছনে বালিশ দিয়ে আর হেলানের কাজ করে। কারো পায়ে সমস্যা থাকলে বিছানা নিচে নামিয়ে তাকে বিছানায় তোলা যায়।
দুপুর একটার দিকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ঢামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৪