ঢাকা: বিষাক্ত খাবার গ্রহণের ফলে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ডক্টরস ফল হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (ডিএইচইএন), খেলাঘর আসর ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন(পবা)আয়োজিত বাংলাদেশের বিদ্যমান খাদ্য পরিস্থিতি এবং করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন আশংকার কথা প্রকাশ করেন বক্তারা।
সেমিনারে বক্তরা বলেন, বাজারে যে সব দুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো খাওয়ার পর বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিষাক্ত খাবার গ্রহণের কারণে নারীরা নানা সমস্যায় ভুগছেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে তৈরি একটি ভেজাল হলুদ আমেরিকায় গিয়ে ধরা পড়লো, অথচ তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলো না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে দেশের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগবে।
তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে নামমাত্র ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাতে কোনক্রমেই সমাজ থেকে ভেজাল দূর করা সম্ভব হচ্ছে না।
চারপাশের বিভিন্ন ভেজাল খাদ্যের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সকল পচনশীল খাদ্যেই পচন রোধে ফরমালিন ও প্যারাফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব খাদ্য গ্রহণের ফলে গর্ভস্থ শিশু বিকলাঙ্গ, পঙ্গু ও অতিবৃদ্ধরা পর্যন্ত নানা রোগে ভুগছেন। দেশে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ সহ বিভিন্ন রোগ হুঁ হুঁ করে বাড়ছে।
সম্প্রতি পাশ হওয়া ‘খাদ্য আইন-২০১৩’ দ্রুত বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে সংগঠনটি।
ভেজাল রোধে কঠোর নজরদারি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উদ্যোগ বাড়ানো, খাদ্যের আদর্শ ও সঠিকমান নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে একটি স্বতন্ত্র রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তারা।
ডা. আবু সাইদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ডা. লেলিন চৌধুরী, ডা. ফরমুজুল হক, ড. মাজহারুল হক ও ডা. বিলকিস বেগম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৪