ঢাকা: দেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশ আর্সেনিক দূষণের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকার চার নদীর পানিতে পয়ঃনিষ্কাষণ জনিত দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ।
আগামী ২২ মার্চ শনিবার বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেসরকারি সংস্থা এনজিও ফোরাম দিনব্যাপী মাঠ পর্যায়ে পানির অবস্থা পরিদর্শনের পর এনজিও ফোরামের লালমাটিয়া অফিসে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
এনজি ফোরামের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রধান জোসেফ হালদার এ জরিপ তুলে ধরেন।
জোসেফ হালদার জানান, ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পানিই শক্তি’। আমাদের সবার অঙ্গীকার হওয়া উচিত পানিকে শক্তিকে রূপান্তর করা। পৃথিবীর তিন ভাগ পানি হওয়া সত্ত্বেও পানীয় জল ও ব্যবহারের জন্য পানি খুবই সীমিত।
এনজিও ফোরামের এ জরিপে তুলে ধরে বলা হয়, দেশে ১৩ লাখ অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। এই সংখ্যা প্রযোজনের চেয়ে ৫ লাখ বেশি। এ ক্ষেত্রে পানি ও অর্থের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে। আর আর্সেনিকের দূষণও বিপর্যয় ডেকে আনছে।
আর্সেনিক ঝুঁকি তুলে ধরে বলা হয়, দেশের প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশ আর্সেনিক জনিত কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরে জরিপে বলা হয়, ঢাকার চার পাশে ৭ হাজার শিল্প কারখানা থেকে প্রতিদিন এক দশমিক ৫ মিলিয়ন কিউবিক মিটার তরল বর্জ্য বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চার নদীতে পড়ছে। ঢাকায় প্রতিদিন ১২ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার পয়ঃবর্জ্য তৈরি হয়, এর ৭০ শতাংশই কোনো রকম শোধন ছাড়াই নদীতে পড়ছে। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় অবস্থিত পয়ঃশোধনাগারটিতে পানি শোধন ক্ষমতা মাত্র ১০ শতাংশ।
এনজিও ফোরামের পক্ষ থেকে আর বলা হয়, রাজধানীতে ভূ-গর্ভস্থ পানি বেশি উত্তোলনের কারণে প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ ফিট নিচে চলের যাচ্ছে পানির স্তর। রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি বছরই পানির স্তর নিচে নামছে। খাবার পানি সংগ্রহের জন্য টিউবয়েল স্থাপনে গভীর থেকে গভীরে যেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৪