সিগারেটের গোড়া! এই নামেই সবাই চেনে। মূলত সিগারেটের ফিল্টার।
সিগারেটের ফিল্টারে নোংরা হয়ে উঠছে চারিদিক। ধূমপায়ীরা নিকোটিন গ্রহণ করবেন কি করবেন সে সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। এজন্য সিগারেটের প্যাকেটে এর ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। সমস্যাটি গোটা বিশ্বজুড়েই রয়েছে। সুতরাং নিষিদ্ধ হলে তা গোটা বিশ্বেই করতে হবে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন সিগারেটের গোড়া কিংবা বাটেও একই মাত্রার টক্সিন পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে পানি ও বাতাস দুইই দুষিত হচ্ছে।
স্যান ডিয়েগোর একদল গবেষক সরাসরি দাবি তুলেছেন, সিগারেটের ফিল্টার নিষিদ্ধ করা হোক। তারা বলেছেন, সিগারেট যারা বিক্রি করছেন তারাই এরগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতির বিষয়ে সতর্কবার্তা দিতে পারেন।
সান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক টমাস নোভোন্টি এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলি সøটারের মতে প্রতিবছর ছয় লক্ষ কোটি (৬ ট্রিলিয়ন) সিগারেট ফুঁকছেন ধূমপায়ীরা। যার মধ্যে সাড়ে চার লক্ষ কোটি (৪.৫ ট্রিলিয়ন) সিগেটের গোড়াই রাস্তা-ঘাটে এখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
ঘরের ভেতর ধূমপান নিষিদ্ধ করার প্রবনতা যত বাড়ছে বাইরের পরিবেশ ততই বেশি নোংরা হয়ে উঠছে।
এ অবস্থায় পরিবেশকে বাঁচাতে পরিবেশবাদী গ্রুপগুলোর দিকে তামাক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলেই মনে করেন নোভোন্টি ও সøটার।
গবেষকরা বলছেন, সিগারেটের গোড়ার অস্তিত্ব সর্বত্র। নদী সমুদ্রের পানি পরিস্কার করতে গিয়ে, নগরের ময়লা-আবর্জনা সরাতে গিয়ে বিপুল সংখ্যাক ফিল্টার পাওয়া যায়। তারা মনে করছেন এসব পরিচ্ছন্নতার কাজে যে অর্থ খরচ হচ্ছে তা বহনে তামাক ব্যবসায়ীদের অংশিদার হতে হবে। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে আইন করে বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া ছুঁড়ে ফেলা বাটটি যে কতটা ক্ষতিকর তাও সিগারেটের প্যাকেটে লিখে দিতে হবে বলে মনে করেন এই দুই পরিবেশবিদ।
গবেষকরা সিগারেটের এই ফিল্টারকে ‘স্রেফ ফালতু’ বলেও উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক একটি পর্যালোচনায় দাবি করেছে, ফিল্টার না করে ধূমপান ও ফিল্টার করে ধূমপানের মধ্যে খুব একটা ভিন্নতা নেই। আর তাতে সিগারেট যে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর হয়ে যায় তাও নয়।
এ অবস্থায় অন্যদের ক্ষতি এড়াতে সিগারেটের ফিল্টার নিষিদ্ধ করার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন নোভোন্টি ও সøটার।
বাংলাদেশ সময় ১৩০২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৪