টুথপেস্ট, সানস্ক্রিন কিংবা সাবান নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। ঘরে প্লাস্টিকের খেলনা, এটাসেটা কত কিই থাকে।
সাবান ও টুথপেস্টে যে তিনটি নন-টক্সিক রাসয়নিক ব্যবহার করা হয় তার একটিতে শুক্রানুর কোষগুলোর উর্বরতা কমিয়ে দেয়। আর গবেষকরা বলছেন বিশ্বে ক্রমবর্ধমান হারে যে পুরুষের উর্বরাশক্তি কমছে তার পেছনে এই দুটি নিত্যসামগ্রীর ব্যবহার প্রধান কারণ হতে পারে।
মানুষের তৈরি ব্যবহারযোগ্য রাসয়নিকের এতটা ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি এই প্রথম ধরা পড়লো গবেষকদের কাছে। টক্সিকোলোজি পরীক্ষণে কেমিক্যালের যেসব বিষাক্ত দিকগুলো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলে চিহ্নিত হয়েছিলো এই গবেষণায় সেগুলোরও ক্ষতিকর দিক সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
তবে প্রভাব চিহ্নিত করেই ক্ষান্ত হননি এই গবেষকরা। তারা পরীক্ষণের একটি নতুন পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছেন যাতে এ ধরনের সামগ্রী পরীক্ষা করেই কর্তৃপক্ষ তা নিষিদ্ধ কিংবা ব্যবহার সংরক্ষিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বহুল আলোচিত এনডোক্রাইন ডিসরাপ্টিং রাসয়নিকের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে গবেষষণা করতে গিয়েই এই নতুন দিকটি উন্মোচিত হলো গবেষকদের কাছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই রাসয়নিককে নারীর হরমনের জন্যও ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। সার্বিকভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যকেই হুমকির মুখে ফেলছে এই রাসয়ননিক। গবেষকরা এও দেখেছেন এক সঙ্গে দুই তিন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে এর রাসয়নিকের একধরনের ককটেল এফেক্ট পড়ে।
গবেষকরা মনে করছেন বিষয়টিতে গভীর মনোনিবেশ করে এর একটি সমাধান দ্রুতই করা প্রয়োজন।
ডেনমার্কের কোপেনহ্যাগেন ইউনির্ভাসিটি হসপিটালের প্রফেসর নিলস স্কাকেবায়েক বলেন, এই প্রথম আমরা পুরুষের বীর্যে শিল্পপণ্যের রাসয়নিকের এমন সরাসরি প্রভাবের দিকটি চিহ্নিত কররেছি। আমার মত হচ্ছে, এটি ধারনার চেয়েও বেশি উদ্বেগের ও বিপজ্জনক। আধুনিক সমাজে প্রজণন স্বাস্থ্যের যে দুর্বলতা চিহ্নিত হচ্ছে তার পেছনে এসব প্রসাধনী সামগ্রীরই অবদান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৪