ঢাকা: মানবদেহের রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেস্তা বাদাম কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস এক ঘাতক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পেস্তা বাদাম ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে হৃদরোগর ঝুঁকিও কমায়। শর্করা বা গ্লুকোজ ও চর্বি নিয়ন্ত্রণে এর প্রভাব রয়েছে। পেস্তা বাদাম প্রোটিন, এন্টি অক্সিডেন্ট ও আঁশের একটি ভাল উৎস। এ কারণে এটি স্থূলতা ও হৃদরোগের ঝুকিঁ কমায়।
ডায়াবেটিস টাইপ-২ (ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল নয়) যারা এ অবস্থান করছেন পেসতা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল বিশেষত তাদের জন্য বেশি উপকারী।
স্পেনিস এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৪ জন ব্যক্তি যারা ডায়াবেটিস সীমানায় রয়েছেন আট মাস তাদের পরিমিত আকারে একই খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তির একই পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিদিন ৫৭ গ্রাম পেস্তা বাদাম দেওয়া হয়েছে।
আট মাস পরে তাদের ওজন না কমলেও রক্ত পরীক্ষা করে পার্থক্য পাওয়া গেছে। এই পরীক্ষার পরে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমানোর এটাই সহজ উপায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্পেনের রোভিরা আই ভার্জিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মনিকা বুলো বলেন, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার একত্রে সুগার নিয়ন্ত্রণে যে কাজ করে, পেস্তা বাদামে থাকা উপাদান একাই সুগার নিয়ন্ত্রণে ততটাই বেশি কার্যকর।
ধারণা করা হয়, বাদাম তেলযুক্ত খাবার হওয়ায় শরীরে মেদ বৃদ্ধি করে। কিন্তু দেখা গেছে নিয়মিত পরিমিত হারে বাদাম গ্রহণ করা খুবই স্বাস্থ্যকর।
মনিকা বলেন, সুস্থ জীবন-যাপনে জল খাবার হিসেবে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেই আমি। বিশেষত পেস্তা বাদাম। যাদের প্রতিদিন বাদাম খাওয়া সম্ভব নয় তাদের অন্তত মাঝে মাঝে খাওয়া উচিৎ।
ভিন্ন একদল গবেষক বলছেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেস্তা বাদাম ঠিক কতটা কার্যকর তা নিশ্চিত হতে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক ডা. রিচার্ড ইলিয়ট বলেন, ডায়াবেটিস টাইপ-২ এ যারা রয়েছেন ঝুঁকি এড়াতে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে।
ডায়াবেটিসের কোনো পূর্ব লক্ষণ না থাকায় যতক্ষণ না রোগটি জটিল আকার ধারণ করছে, ততক্ষণ উপলব্ধি করার সুযোগ থাকে না। তাই প্রত্যেকেরই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৪