সিলেট: প্রসবকালীন ফিস্টুলা রোগ নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই, এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। ২০০৩ সাল থেকে দেশের ১০টি সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ফিস্টুলা রোগের চিকিৎসা চলছে।
ইতোমধ্যে এ রোগে আক্রান্তদের ৪০ শতাংশ রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। অধিকতর গণসচেতনতা ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সব কুসংস্কার দূর করে প্রসবকালীন ফিস্টুলা রোগে আক্রান্তদের সামাজিকভাবে মূল জনস্রোতে নিয়ে আসতে হবে।
বিশ্ব প্রসবকালীন ফিস্টুলা রোগ দিবস উপলক্ষে রোববার বেলা ১১টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সেমিনার রুমে আইএনএফপিএ আয়োজিত সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।
ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মোঃ মোরশেদ আহমদ চৌধুরী।
সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, ফিস্টুলা রোগে আক্রান্তরা বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা ও সামাজিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে সমাজ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েন। অথচ একটু সচেতন হলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য দরকার ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে না দেওয়া, অধিক সন্তান জম্ম না দেওয়া, প্রসবকালীন সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নেওয়া এবং দক্ষ দাই বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিরাপদভাবে প্রসব করানো।
বক্তারা জানান, আইএনএফপিএ’র সহযোগিতায় এ রোগে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। আইএনএফপিএ’র সহযোগিতায় থাকা খাওয়া ও আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি প্রসবকালীন ফিস্টুলা রোগীদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও করছে আইএনএফপিএ।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. দীলিপ কুমার ভৌমিক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডা. সমর কুমার ঘোষ।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, প্রমোদ রঞ্জন সিং, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের ডা. হেলাল উদ্দিন, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কল্লোল বিজয় কর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪