ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চুলে শ্যাম্পু করার লাভ-ক্ষতি

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪
চুলে শ্যাম্পু করার লাভ-ক্ষতি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চুল ঝরঝরে ও স্বাস্থ্যকর রাখতে অনেকেই প্রত্যহ শ্যাম্পু মাখেন। কেউ কেউ যেমন দিনে দু’তিনবারও শ্যাম্পু করেন, অনেকে আবার সপ্তাহে মাত্র একবারই করেন।

ঘনঘন কিংবা দীর্ঘ বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু করার লাভ কিংবা ক্ষতি কী? যারা শ্যাম্পু করছেন-তারাও কি পুরোপুরি জানেন?

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম অ্যাবাউট.কমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে চুলে শ্যাম্পু করার লাভ-ক্ষতির হিসেব তুলে ধরছে বাংলানিউজ।

প্রথমে চোখ বুলানো যাক লাভের খাতায়।

চুল স্বাস্থ্যকর, আকর্ষণীয়, আবেদনময়ী রাখতে নিঃসন্দেহে শ্যাম্পুর বিকল্প বিরল। এ কারণে অনেকেই দিনের বেশিরভাগ সময় স্যালুন বা পার্লারে কাটান। কেউ বাসাকেও পার্লার বানিয়ে ফেলেন-শ্যাম্পু ব্যবহার করে।

নিয়মিত শ্যাম্প‍ু করলে চুলই কেবল পরিষ্কার হবে না, মাথ‍ার খুলিকেও স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন রাখবে।

কীভাবে চুল ও মাথার খুলি পরিষ্কার রাখে শ্যাম্পু?

কেউ যখন চুলে শ্যাম্পু করে তখন তার মাথার খুলি থেকে তেল শোধিত হয়ে যায়, যার ফলে চুল ও খুলি স্বাস্থ্যকর থাকে। মুক্ত হয় খুশকিও। আবার যখন মাথার চুল থেকে তেল শোধিত হয়ে যায় তখন শ্যাম্পুকারীর মাথার খুলি রুক্ষ হয়ে তেল আরও বাড়াতে থাকে। তখন ব্যবহারকারীর মনে হতে পারে মাথার খুলিতে চর্বি হয়ে গেছে, যে কারণে বারবার এবং প্রতিদিন একাধিকবার চুলে শ্যাম্পু করেন তিনি, অর্থাৎ শ্যাম্পু করার কারণেই আবার শ্যাম্পু করতে বাধ্য হন।

মাথা তৈলাক্ত হয়ে থাকে বলে এ ব্যাপারে অজ্ঞ ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন ও বিরক্ত থাকেন।

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য বারবার শ্যাম্পু করলেও হিতে বিপরীত দেখা দেয় প্রায় সময়ই, অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে কী ক্ষতি হতে পারে-এবারে সে খাতায় চোখ বুলানো যাক।

প্রথমত, নিয়মিত শ্যাম্প‍ু করার কারণে মাথা শুষ্ক হয়ে চুলকানি এমনকি চামড়া ফাটার উপক্রমও হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, চুলের রং বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে, যে কারণে শ্যাম্পুকারীকে নিজের চুলে কৃত্রিম রং ব্যবহার করতে হতে পারে।

তৃতীয়ত, শ্যাম্পু ও মাথার চুল নিয়ে অনেক বেশি দুঃশ্চিন্তার সময় কাটাতে হবে কেবল ওয়াশরুমে।

চতুর্থত, অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের কারণে খরচ করতে হবে বাড়তি অর্থ।

পঞ্চমত, শ্যাম্পুর কারণে পানি খরচ করতে হবে।

ষষ্ঠত, গরম পানি, চুল শুকানো এবং ওয়াশরুমে বেশি অবস্থানের ফলে বাড়বে বিদ্যুৎ খরচ।

সপ্তমত, অস্বাস্থ্যকর মাথার খুলি চুলকে বাড়তে দেবে না

এবং অষ্টমত, স্বাস্থ্যের ওপরই প্রভাব ফেলতে পারে মাত্রাতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার।

তাহলে উপায়?

কার চুল ও মাথার খুলির অবস্থা কেমন এবং তার প্রয়োজনীয়তা কী সেটা বোঝা যেমন সময়ের ব্যাপার, তেমনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া এর পরামর্শ দেওয়াও মুশকিল।

তথাপি প্রাথমিক পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে যে, প্রথমত একদিন অন্তর অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে এবং শ্যাম্পু ব্যবহারের বিরতির সময়টা বাড়াতে থাকুন, এভাবে বাড়াতে বাড়াতে একসময় ৪-৬ দিন বিরতি দিয়ে শ্যাম্পু করুন। এছাড়া, শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে যেদিন বাইরে বের হওয়া লাগবে না এমন একটি দিন বাছাই করুন।

সবশেষ, পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে, হেয়ার স্পেশালিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রবণতা তৈরি করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।