ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রসূতিরা যে কারণে বেশি দুধ খাবেন না

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪
প্রসূতিরা যে কারণে বেশি দুধ খাবেন না

ঢাকা: দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই অবগত, বিশেষ করে নবজাতকের পুষ্টির প্রধান উৎস হিসেবে। কেবল নবজাতকই নয়, দুধের প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও প্রোটিন সবার স্বাস্থ্যকেই ভালো রাখে।



দুধে এমন অজস্র পুষ্টিগুণ রয়েছে বিধায় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএ প্রসূতি মায়েদের প্রত্যহ অন্তত তিন কাপ করে দুধ অথবা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের সুপারিশ করে আসছে।

প্রসূতি মায়েরা বেশি বেশি দুধ খেলে তাদের সন্তানরা লম্বা, স্বাস্থ্যবান ও বুদ্ধিমান হয় বলেই জানিয়ে আসছিল আগেকার গবেষণাগুলো। কিন্তু এসব গবেষণা প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সম্প্রতি একেবারেই চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের একদল গবেষক।

খ্যাতনামা ‘মেডিকেল জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষক দলটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রসূতি মায়েরা অনেক বেশি দুধ খেলে তাদের শিশুরা বেড়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে লৌহঘাটতিতে পড়তে পারে।

মস্তিষ্কের বিকাশে লৌহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শিশুর শরীরে যদি লৌহঘাটতি থেকে থাকে- বিশেষত মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশের সময়- তবে তার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম, আচরণ ও পরিবেশ থেকে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

স্টারশিপ চিলড্রেন’স হসপিটালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যামেরন গ্র্যান্ট বলেন, দুধ ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলেও এতে আয়রন নেই বললেই চলে। তাছাড়া, দুধ অন্য খাবারের প্রতি অনাগ্রহ জন্মাতে পারে, যে অনাগ্রহের তালিকায় লৌহসমৃদ্ধ খাবারও পড়ে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষণার অংশ হিসেবে ১৩১ নবজাতকের নাভীর রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখ‍া যায়, নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৭ শতাংশ নবজাতক লৌহঘাটতিতে ভুগছে। যে মায়েরা অনেক বেশি দুধ খেয়েছেন তাদের সন্তানদের শরীরেই লৌহের পরিমাণ একেবারেই কম।

গবেষকরা বলেন, কিছু মা অনেক সময় কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রেও লৌহঘাটতি কিছুটা দায়ী। আবার বেশি দুধ খাওয়া মায়েরা যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তখন ওই বাচ্চা আরও বেশি লৌহঘাটতিতে ভোগার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

গবেষকরা অবশ্য প্রসূতি মায়েদের দুধ খাওয়া বন্ধ করতে বলেননি, তবে কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি লৌহঘাটতির ঝুঁকি এড়াতে লৌহসমৃদ্ধ (যেমন- মাংস, ডিম, কলিজা, ডাল, কাঁচাকলা, কচুশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক ও পুঁইশাক)  ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ (যেমন-আমলকি, পেয়ারা, টমেটো, কমলা, সবুজ শাক) খাবার বেশি গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।