ঢাকা: কেবল খাদ্য নয়, নাগরিকদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে খাদ্য অধিকার বিষয়ে ‘গণশুনানি’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান বলেন, খাদ্য অধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকদের কোনো করুণা নয়, রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব এ অধিকার নিশ্চিত করা।
তবে ফরমালিন ও বিষাক্ত খাদ্য নয়, মানুষকে ভেজালমুক্ত খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, খাদ্য উৎপাদন কেবল নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করে না। খাদ্যের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে এ অধিকার নিশ্চিত হবে এবং তা আমাদেরকে আদায় করে নিতে হবে।
মিজানুর রহমান বলেন, সম্পদের অপ্রতুলতা মানবাধিকার সুরক্ষায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। রাষ্ট্রের যে সম্পদ রয়েছে এর মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশন’র (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, মানুষের মধ্যে বর্তমানে বৈষম্য অনেক কমেছে, কমেছে দারিদ্র্যও।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধান-গম বেশি উৎপাদন হলেও পুষ্টিহীনতার সংখ্যা বাড়ছে। আমাদেরকে শুধু খাদ্যের অধিকার নয়, পুষ্টিকর খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশে এখনও প্রতিবছর ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘণবসতি দেশ বাংলাদেশ। ২০৫০ সাল নাগাদ দেশে ৩০ শতাংশ চাল ও ৮০ শতাংশ গম উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন কাজী খলিকুজ্জামান।
মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ে দেশিয় উৎপাদনের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, না হতে পারায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ড. মিজানুর রহমান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও অক্সফাম আয়োজিত ‘গণশুনানি’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অক্সফামের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মনিষা বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৪