ঢাকা: প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নতুন আধুনিক ব্যাকটেরিয়াল টিকা উৎপাদন গবেষণাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে। চারতলা বিশিষ্ট এ গবেষণাগারে অ্যানথ্রাক্স, বাদলা ও গলাফুলা ভ্যাকসিন এবং মিডিয়া সিড কালচারের নতুনভাবে খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মাহখালীতে প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান চত্বরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এ গবেষণাগারের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় খাদ্য ও আমিষের চাহিদা পূরুণ করে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এই প্রাণিজ আমিষের বড় একটা অংশ গবাদিপশু, হাঁস মুরগীর ডিম, দুধ ও মাংস হতে আসছে।
তিনি বলেন, গবাদিপশু সুস্থ রাখতে প্রধান ভূমিকা রাখছে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নানা আবিস্কার। বিশেষ করে নতুন নতুন ভ্যাকসিন আবিস্কার ও উৎপাদন করে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে।
নবনির্মিত এই গবেষণাগারের মাধ্যমে গবাদিপশু, পাখির স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক মান-সম্পন্ন অধিক পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শেলীনা আফরোজ বলেন, গবাদিপশুর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন উৎপাদন করা অনেক কঠিন একটা কাজ। এর জন্য দরকার আধুনিক গবেষণাগার ও উচ্চ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনবল। তবে নানা প্রতিকূলতা থাকার পরও এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক জতীন্দ্র নাথ দাস জানান, এই গবেষণাগারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াল টিকা উৎপাদন আগের চেয়ে দ্বিগুণ হবে। যা মোট ব্যাকটেরিয়ার চাহিদা মেটাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৪