ঢাকা: নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে বাবা-মার চিন্তার শেষ নেই। ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে কি-না, শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছে কি-না, শরীরের তাপমাত্রা কতো, হৃদস্পন্দন কেমন, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কতো ইত্যাদি।
তবে, এখন থেকে এসব বিষয়ে দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে। কারণ, প্রযুক্তিবিদরা এমন এক ধরনের ‘ডিভাইস’ উদ্ভাবন করেছেন যেটা ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা সম্ভব।
মোজার মতো দেখতে ডিভাইসটিতে চারটি সেন্সর পালস্ অক্সিমেটার লাগানো থাকে। সেন্সর থেকে বিচ্ছুরিত আলো শিশুর দেহের সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে পারে। শিশুর দেহের টিস্যুর মধ্যে আলো প্রবেশের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া চলে। এ প্রক্রিয়া গৃহীত তথ্য স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনে চলে যায়। আর অ্যাপ থেকেই শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা যে কোনো স্থানে বসে জানা যায়। সে অনুযায়ী নেওয়া যায় ব্যবস্থা।
তবে, এমন যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড’র শিশু বিশেষজ্ঞ ড. ডেভিড কিং।
তিনি ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালের দিকে শিশুদের আচমকা মৃত্যুর উপসর্গ বা এসআইডিএস ঠেকাতে ‘ব্যর্থ’ মনিটর ব্যবহারের উদাহরণ দেন।
ড. ডেভিড বলেন, ওই মনিটর এসআইডিএস মৃত্যু কমাতে পারেনি। তাই পরবর্তী সময়ে আমেরিকান একাডেমি অব পেড্রিয়াটিস যন্ত্রটি ব্যবহারে আর সুপারিশ করেনি। বরং রোগটি ঠেকাতে কয়েকটি যৌক্তিক পরামর্শ দিয়েছে।
তাছাড়া, ডিভাইসটি যে তথ্য দিচ্ছে সেটি যে সঠিক এর পক্ষে কোনো কোনো গবেষণা প্রমাণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি কোনো মেডিকেল ডিভাইসও নয়- যে কারণে আমরা এর ওপর আস্থা রাখতে পারবো।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ব্যয়বহুল ডিভাইসটি শিশুর জন্য মোটেও নিরাপদ নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৪