ঢাকা: জীবনের ত্রিকাল দর্শন শেষে যমের অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকা কোনো ব্যক্তিকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আপনার শেষ ইচ্ছে বা আকাঙ্ক্ষা কী? নির্দ্বিধায় তিনি বলে উঠবেন- ‘হায়, যদি যৌবন ধরে রাখতে পারতাম, যদি যৌবন ফিরে আসতো?’ কিন্তু সে কি আর সম্ভব?
তবে, ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা’ দিলে এই আফসোসের মাত্রা হয়তো খানিক কমতেও পারে। যেমন- বয়স বাড়লেও কেবল খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকে মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতায় চির সবুজ থাকেন দীর্ঘকাল, আবার অনেকে কেবল খাদ্যাভ্যাসের দায়েই অকালে বুড়িয়ে যান।
তাই সময় যাওয়ার আগেই সাধনায় বসতে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য কিছু খাবার তালিকা দেওয়া হচ্ছে। পানাহারে সময়ানুবর্তী ও সুশৃঙ্খল হওয়ার পাশাপাশি এ তালিকার খাদ্যগুলো গ্রহণে দীর্ঘকাল যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখা যাবে।
গরুর দুধ
চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, গরুর দুধ ভোক্তাকে দীর্ঘায়ু লাভে সাহায্য করে। ভোক্তার যৌবনও ধরে রাখে।
এছাড়া, মেধা শাণিত করতে এবং মলমূত্র ত্যাগের মাধ্যমে শরীর সবসময় ফুরফুরে ও সতেজ রাখতে গরুর দুধের কার্যকারিতা অপরিসীম।
প্রত্যেক প্রাণীর দুধের চেয়ে গরুর দুধই দেহ শক্তিশালী ও মন তরতাজা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
ঘি
ভোক্তার চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তারুণ্য ধরে রাখতে গরুর দুধের ঘি’য়ের জুড়ি নেই। এই ঘি দৃষ্টিশক্তি, হজমি শক্তি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোবলও বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে ভোক্তাকে দীর্ঘায়ু লাভেও সাহায্য করে।
লাল চাল
প্রাকৃতিকভাবেই লাল চাল মিষ্টি, সাদা, তৈলাক্ত ও শক্ত হয়ে থাকে। এই চাল খেলে শারীরিক সক্ষমতা ও সৌন্দর্য এবং বীর্যের মান বৃদ্ধি পায়, স্বর সুন্দর হয়। এছাড়া, লাল চাল জিহ্বার রুচি ও হজমি শক্তি বাড়ায়।
লাউ
চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা আছে, লাউ প্রাকৃতিকভাবে আদিকাম বৃদ্ধি করে। একইসঙ্গে খাবারের রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও লাউয়ের ভূমিকা অসাধারণ।
কাজুবাদাম
আদিকাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাজুবাদামের জুড়ি নেই। এই খাবার শরীরের টিস্যুগুলোকে দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা দেয়।
ফলমূল
ফলমূলে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে পুষ্টি যোগায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে বয়সের ছাপ পড়বে না।
এছাড়া, হাঁটাহাঁটি ও কায়িক পরিশ্রম দেহের সুঠাম ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে বার্ধক্যের ছাপ সহজে পড়তে পারে না।
যৌবন ধরে রাখতে এসব খাবারের তালিকা ও পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর আয়ুর্বেদ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জানাখানা বুচ।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪