ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুলনায় হৃদরোগের চিকিৎসায় ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট চালু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪
খুলনায় হৃদরোগের চিকিৎসায় ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট চালু

ঢাকা: হৃদরোগে আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় চালু হয়েছে ফর্টিস এসকর্টস কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউট।

এশিয়ার হৃদরোগ পরিচর্যায় খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের এ এফ সি হেলথ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এ অত্যাধুনিক হৃদরোগ হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে।



ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. অশোক শেঠ বৃহষ্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফর্টিস হেলথ কেয়ার লিমিটেডের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) আশিষ ভাটিয়া, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ভারতীয় দূতাবাসের উপ-হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী।

২৩ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা জুড়ে ৪২ বেডের বিশেষায়িত হাসপাতালে সর্বাধুনিক হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রযুক্তি থাকছে।

বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম স্টেট অব দি আর্ট ক্যাথ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এই হাসপাতালে।

এনজিওগ্রাম, কৃত্রিম পেসমেকার স্থাপন, করোনারি আর্টারি বাইপাস, বাল্ব প্রতিস্থাপন, পেরিফেরি বাইপাস সার্জারিসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হবে হাসপাতালটিতে।

এছাড়া হাসপাতালে প্রথমবারের মতো একটি ই-আইসিইউ সেবা চালু করা হয়েছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে সংকটাপন্ন রোগীরা জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।

হাসপাতালটি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করে অনুষ্ঠানে ড. অশোক শেঠ বলেন, আমি এ হৃদরোগ হাসপাতালটি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করতে চাই, যারা এর মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা পাবেন। জীবনযাত্রার ধরণ দ্রুত পরিবর্তন, খাদ্যভ্যাস ও ক্রমবর্ধমান স্ট্রেসের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের মধ্যে কম বয়সেই হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে।

‘আমাদের অভিজ্ঞতা, স্টেট অব দি আর্ট প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসকদের সমন্বয়ের ফলে এ ওয়ান স্টপ কেন্দ্রটি থেকে হাজার হাজার রোগী সর্বোৎকৃষ্ঠ হৃদরোগ চিকিৎসা সেবা পাবেন। ’—বলেন তিনি।

ফর্টিস হেলথকেয়ার লিমিটেডের সিওও আশিষ ভাটিয়া বলেন, ‘এ হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে যথোপযুক্ত হৃদরোগ সেবা দেওয়ার অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ অঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি লোক এ হাসপাতাল থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন।

তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল এক্সিলেন্স, সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয় করে আমরা শ্রেষ্ঠ হৃদরোগ সেবা প্রদানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এএফসি হেলথ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবিএম গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা সেবায় এটি একটি বড় পদক্ষেপ। দেশে হৃদরোগ সেবার মানোন্নয়নে স্টেট অব দি আর্ট অবকাঠামো ও ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিটের শ্রেষ্ঠ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দলের সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ভৌগলিক সীমাবদ্ধতার কারণে খুলনার জনগণ রাজধানী ঢাকার চিকিৎসা সেবা থেকে এতদিন অনেকাংশে বঞ্চিত ছিলেন। এখন থেকে খুলনা ও বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ যথাসময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিকমানের হৃদরোগ সেবা পাবেন।
 
হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন ড. শেঠ।

২০১১ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ হৃদরোগ আক্রান্ত হয়। যার সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৬৯।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।