ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বেসরকারি মেডিকেল বন্ধের হুমকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
বেসরকারি মেডিকেল বন্ধের হুমকি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় পাস নম্বর ২০ করার জন্যে অাবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএস)। শেষ পর্যন্ত এ আবেদনে সাড়া না দিলে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।



রোববার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেন বিপিএমসিএস’এর সভাপতি ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

ভর্তি পরীক্ষায় এমবিবিএস কোর্সে ২০ এবং ডেন্টাল কলেজে ১০ নম্বর পেলে ভর্তির অনুমতি দেওয়ার জন্যে আবেদন জানান সংগঠনের নেতারা। গত ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বরাবর এ বিষয়ে একটি আবেদনও করেন তারা।

ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দেশের ৫৪টি বেসরকারি মেডিকেলে কলেজে ২৯৬৫টি আসন ও ডেন্টাল কলেজে ১৩৮০টি আসন খালি রয়েছে এখন পর্যন্ত।

শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে না পারলে আমরা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবো না, কলেজের ব্যয় বহন করা সম্ভব হবে না। সরকার নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকলে প্রয়োজনে কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সরকারি কলেজগুলোতে স্থানান্তরের জন্যে সরকারকে বলা হবে।

দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির কোটা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তিনি। এছাড়াও ইংরেজি মাধ্যমের দেশীয় ছাত্রদের জন্যে ভর্তির যোগ্যতা জিপিএ ৭ নির্ধারণ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিপিএমসিএ’র উপদেষ্টা ও শমরিতা মেডিকেল কলেজের মকবুল হোসেন এবং প্রাইভেট ডেন্টাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর্জা আলী হায়দার।

বক্তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত ভর্তির যোগ্যতা যদি ৪০ নম্বর বজায় থাকে, তবে গত বছরে মেডিকেলে ৩০ শতাংশ ও ডেন্টাল কলেজে ৬০ শতাংশ আসন খালি থাকলেও এবার মেডিকেল কলেজে ৬০ শতাংশ ও ডেন্টাল কলেজে ৮০ শতাংশ আসন খালি থাকবে। এছাড়া দেশে পড়ার যোগ্যতা না থাকলেও শুধুমাত্র জিপিএ ৮ পাওয়া শিক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে বিদেশ থেকে নিম্নমানের ডিগ্রি নিয়ে আসবে।

একটি বিশেষ চক্র দেশ থেকে শিক্ষার্থী পাচারের জন্যে এ কাজ করছে বলে অভিযোগ তাদের। পরিকল্পিতভাবে কঠিন এবং ভুল প্রশ্নপত্র করে শিক্ষার্থীদের পাস নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।