ঢাকা: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) ছাড়তে চাইছেন না সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার। অদৃশ্য এক মধুর টানেই তিনি চাকরির মেয়াদ পার করেও পদ ছাড়তে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এক বছর অতিরিক্ত সময়সীমা পার করার পর গত ১২ মার্চ তার চাকরির সময়সীমা শেষ হয় বলে সূত্র জানায়।
সোমবার (১৭ মার্চ) সরেজমিন পঙ্গু হাসপাতালে দেখা যায়, বহাল তবিয়তেই অফিস করছেন তিনি। এ সময় ডা. খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, চেষ্টা করছি আরো কিছুদিন থাকার। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেখা যাক কি হয়!
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী নাসিমের সুনজর পেতেও পারেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চের পর থেকে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক ডা. গণিমুল্লাহ দায়িত্ব পেলেও ডা. খন্দকার নিয়মিত অফিস করায় এখন পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে পারছেন না তিনি।
তাছাড়া হাসপাতালটিতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের ক্রয় কার্যক্রম চলছে বলেও জানা যায়।
যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রায় দুইশ’ নতুন বেড এবং অর্থোপেডিক চিকিৎসার জন্যে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু দামী যন্ত্রপাতি। এ কারণেই পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক পদটি মধুর মৌচাক বলে আখ্যা দিচ্ছেন অনেকে।
গত ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫